মির্জাপুরে অধিকাংশ কর্মকর্তার সরকারী ট্যাব এখনো অব্যবহৃত
মির্জাপুর উপজেলায় সরকার কর্তৃক বিতরণ করা মোবাইল ট্যাব বেশির ভাগ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ব্যবহার করছেন না। বিতরণের তিনমাস অতিবাহিত হলেও এখনো অনেক জনপ্রতিনিধিই আছেন যারা এর ব্যবহারই জানেন না বলে জানা গেছে।
ইউএনও অফিসের টেকনিশিয়ান শাহ আলম জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে উপজেলার পরিষদের মাধ্যমে সরকারের দেয়া ৩০টি ট্যাব বিতরণ করা হয়। লক্ষ্য ছিল বিতরণকৃত এসব ট্যাব ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিগণ সবসময় অনলাইনে আপডেট থেকে ফেসবুক, ই-মেইল ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও কার্যক্রম বাড়াবেন এবং সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা সর্ম্পকে ধারণা নিতে পারবেন।
এছাড়া বিভিন্ন দাতা সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কেও অবগত হতে পারবেন। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রক্রিয়া আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। কিন্তু বিনামূল্যে পাওয়া এসব ট্যাব অধিকাংশ কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ব্যবহারই জানেন না।
ট্যাবের ব্যবহার জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুম আহমেদের উদ্যোগে একদিনের কর্মশালা হলেও অনেকে এর ব্যবহার করতে পারছেন না। এতে সরকারের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপান্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটির সুফল পাওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদ ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সেলিম রেজা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. খলিলুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাকির হোসেন মোল্লা, উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ আরিফুর রহমান, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খাঁন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আহসান হাসিব খান ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেহেনা পারভিনসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সব সময় ট্যাব ব্যবহার করে অনলাইনে আপডেট থাকেন।
এর মধ্যে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, পৌরসভার মেয়র শহীদুর রহমান শহীদ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমূল হক ভূইয়া, মির্জাপুর পল্লী বিদ্যুৎ জোন্যাল অফিসের ডিজিএম সুশান্ত রায় উপজেলা প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম, উপজেলা ইউএসও নারায়ন চন্দ্র রায়, উপজেলা নিবার্চন কর্মকর্তা মো. মাসুদ আহমেদ সিকদার, উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারি প্রকৌশলী বাহার উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিকুর রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফুর রহমান, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা মুনসুর আলী মিয়াও ট্যাব ব্যবহার বুঝেন না। এদের মধ্যে কারো কারো ফেসবুক একাউন্ট থাকলেও খুলার পর আর আপডেট করা হয়নি।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যে কোন উপজেলার চাইতে আমাদের উপজেলার কর্মকর্তাদের মধ্যে ট্যাব ব্যবহার সংখ্যা বেশী। অচিরেই অন্যান্য কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্তব্য চালু নেই