চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিতে যে যার প্রতিপক্ষ

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ওঠে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ ও জুভেন্টাস। তবে কে কার বিপক্ষে খেলবে, এটা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ ছিল না। এবার সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ড্র।

শেষ চারে বায়ার্ন মিউনিখকে পেয়েছে বার্সেলোনা। আর জুভেন্টাসকে পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। মে মাসের ৫/৬ তারিখ সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ও ১২/১৩ তারিখ দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে। ৬ জুন জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি আসরের ফাইনাল।

কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইকে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে বার্সেলোনা। অন্যদিকে পোর্তোর কাছে প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হারলেও দ্বিতীয় লেগে পর্তুগালের ক্লাবটিকে উড়িয়ে দিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে পেপ গার্দিওলার দল।

এই গার্দিওলা ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার কোচের দায়িত্ব পালনকালে সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করেছিলেন। এর আগে ২০১২-১৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হয়েছিল বায়ার্ন।

সেবার অবশ্য দুই লেগ মিলিয়ে ৭-০ গোলে কাতালানদের উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ইয়ুপ হেইঙ্কেসের বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ২০০৮-০৯ মৌসুমে বায়ার্নকে ৫-১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল বার্সেলোনা।

কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে। অন্যদিকে মোনাকোকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পায় জুভেন্টাস।

এদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ এর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে জুভেন্টাসের বিপক্ষে খেলেছিল। সেবার প্রথম লেগে ২-১ ও দ্বিতীয় লেগে ২-২ গোলে ড্র করেছিল তারা। তবে ২০০২-০৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দল দুটি। সেখানে অবশ্য রিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল জুভেন্টাস। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে জুভেন্টাসকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ।



মন্তব্য চালু নেই