সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে শুধু স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামানোর দাবি জানিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ দাবি জানান।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ২৬ এপ্রিল থেকে নয়, আগামীকাল (বুধবার) থেকেই সেনা মোতায়েন করার জন্য আমরা দাবি জানাই। সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের পরও ৫ দিন পর্যন্ত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরের ওপর হামলার ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী ‘নাটক’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সন্ত্রাসীরা আরও আস্কারা পাবে।

রিপন বলেন, সরকারের দায়িত্ব তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু সরকার তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা যে একদলীয় শাসনে বিশ্বাসী সেটিই প্রমাণ করেছে।

এই ঘটনায় চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত মেজর (অব) ফজলে এলাহী সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করতে গেলে এফআইআর গ্রহণ করা হয়নি। এর মাধ্যমে আইনের শাসনের সমতা পরিলক্ষিত হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম, বাংলা নতুন বছরের শুরু থেকে আমরা দেশে ইতিবাচক রাজনীতি উপহার দিতে পারব। কিন্তু শাসকদলের আগ্রাসি মনোভাবের কারণে তা সম্ভবপর হচ্ছে না।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর আমরা সরকারের কাছ থেকে সহমর্মিতা ও সমবেদনা আশা করেছিলাম। কিন্তু তা না পেয়ে আমরা বেদনাহত হয়েছি। সরকারের এ ধরনের বক্তব্যে ইতিবাচক রাজনীতির প্রত্যাশা ভূলুণ্ঠিত হবে। এটা আমাদের কারও প্রত্যাশা না।

বিএনপির বর্তমান মুখপাত্র আরও বলেন, আমাদের ভবিষ্যত নেতৃত্ব তারেক রহমান ও সজিব ওয়াজেদ জয়। আমরা তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক রাজনীতি প্রত্যাশা করি। আমাদের ভবিষ্যত নেতৃত্বের ভাবমূর্তি আমরা যদি নষ্ট করি সেটা শুধু বিএনপি বা আওয়ামী লীগের ক্ষতি নয়, পুরো জাতির ক্ষতি।

তিনি বলেন, জয় গতকালের ঘটনা নিয়ে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এটা খুবই সুন্দর। আমরা খুব খুশি। তবে তিনি বলেছেন, জনগণ ক্ষোভ থেকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাহলে প্রশ্ন জনগণের ক্ষোভ কি শুধু বিএনপির উপর?

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক তৈমুর আলম খন্দকার, সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আকতার প্রমুখ।