ব্রাজিল বিশ্বকাপ

বিশ্বকাপের উদ্বোধনীতে কী থাকছে?

ফুটবল রসিকদের বিরহ কাটছে। চার বছরের আড়ি শেষে বৃহস্পতিবার আবারো মাঠে গড়াচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। তাও আবার সাম্বা আর কার্নিভালের দেশে। ফুটবল যেখানে ধর্ম- সেই ব্রাজিলের সবুজ ঘাসে। সুতরাং রূপ, রস ও গন্ধে এটা যে চন্দনের সৌরভ ছড়াবে চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায় সেটা।

অবশ্য প্রাথমিকভাবে ইন্দ্রপতনের খবর দিয়েছিল ফিফা। ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবারের বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন না মার্কিন পপ তারকা জেনিফার লোপেজ। যিনি ব্রাজিল বিশ্বকাপের অফিশিয়াল থিম সং ‘ওলে ওলার’ (উই আর ওয়ান) অন্যতম গায়িকা।

তবে বিশ্বকাপের দুই দিন আগে অর্থাৎ, মঙ্গলবার ফিফা নিশ্চিত করে বিশ্বকে গানের সৌরভে মোহিত করতে মঞ্চে উপস্থিত থাকতে দ্বিতীয় দফায় সম্মতি দিয়েছেন জোলো (জেনিফার লোপেজ)। সুতরাং এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে কী? ভাঙন ধরছে না ফুটবল মহাশৈলীর পর্দা উন্মোচন পর্বে। সবাই একত্রিতই থাকছেন। যার মানে হলো সাও পাওলো অ্যারেনায় দর্শক মাতাতে এক সাথে গাইছেন পিটবুল, ক্লদিয়া লেইতেও ও জোলো। এ সময় ত্রয়ীদের ড্রামে সহায়তা করবেন বিশ্বখ্যাত ড্রামবাদক ওলোড্রাম।

৩২ দলের মহাযজ্ঞ উদ্বোধন এতেই থেমে থাকছে না। ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া ময়দানি লড়াইয়ের তিন ঘণ্টা আগে অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে বিংশতম ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। যার স্থায়িত্ব হবে ২৫ মিনিট। এই অনুষ্ঠানটিতে ব্রাজিলের পরিবেশ, প্রকৃতি ও ঐতিহ্য ও জনগণকে স্মরণ করে জমকালো বুননের অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়েছে। এখানে যেমন থাকবে গান ও নাচের মোহনীয় ছন্দ, তেমনি থাকবে অ্যাক্রোবেটিক জিমন্যাস্টের যুথবদ্ধ প্রর্দশনী। এতেও যাদের তৃষ্ণা মিটছে না, তাদের জন্য থাকবে ট্রাম্পোনিলিস্ট ও মার্শাল আটের চোখ ধাঁধানো পারফরম্যান্স। যেখানে ৬০০ মতো শিল্পী সারা বিশ্বের দর্শককূলের মন জয়ের চেষ্টা করবেন।

এছাড়া বিশেষ চমক হিসেবে প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি উপস্থাপনা থাকছে। খন্ডিত সেই চিত্রকল্পে দেখা যাবে একজন প্রতিবন্ধী বিশেষ রোবোটিক পোশাক পরে নিজের হুইল চেয়ার থেকে উঠে এসে বলে কিক মারছেন। অবশ্য ওই প্রতিবন্ধীর নাম নিয়ে ঢাকঢাক গুড়গুড় করছে আয়োজকরা। কিন্তু এটা জানা গেছে যে, ব্রাজিলের চিকিৎসক মিগুয়েল নিকোলেসিস বিশ্বের ১৫৬ জন চিকিৎসক নিয়ে একটি দল গড়েছেন। তারাই ওই অভিনব পোশাক বানিয়েছেন, যা মস্তিস্কের তরঙ্গ বুঝে কাজ করতে পারে।

এতো এতো তারকার ভিড়েও এশিয়ার দর্শকরা হয়তো দিলখোশ হতে পারছেন না। কারণ, রঙ্গমঞ্চের সব কুশিলবই যে দূর পরবাসের। সেখানে আপনত্বের সুর বা নৈকট্য কোথায়? এই কথা ভেবেই হয়তো ব্রাজিলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ‘আরব আইডল’ বিজয়ী ফিলিস্তিনের গায়ক মোহাম্মদ আসাফকে। তাছাড়া মঞ্চে তোলার জন্য চেস্টা করা হচ্ছে বিয়নস নোয়েলস ও বিটলসের স্যার পল ম্যাককার্টনেকে।



মন্তব্য চালু নেই