এবার শিক্ষকের হাতে পাঁচ শিক্ষিকা যৌন নিপীড়নের শিকার
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক পাঁচ নারী সহকর্মীকে যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আ ফ ম জাহিদ ইকবাল বলেন, উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচ নারী শিক্ষক তাঁদের সহকর্মী সহকারী শিক্ষক তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। তাজুল গত বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু শিক্ষক হয়েও যিনি ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁকে ক্ষমা করার সুযোগ নেই। তাই তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
পাঁচ নারী শিক্ষক তাঁদের অভিযোগে উল্লেখ করেন, তাজুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে তাঁদের যৌন হয়রানি করছেন। প্রতিবাদ করায় এরই মধ্যে যৌন হয়রানির শিকার তিন নারী শিক্ষককে তাজুল ইসলাম মারধরের হুমকি দিয়েছেন। এ অবস্থায় তাঁরা বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন। অবিলম্বে তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে তাঁদের পক্ষে চাকরি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার জন্য আমি ক্ষমা চেয়েছি। জীবনে কোনো দিন আর এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।’
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলজার হোসেন বলেন, ‘কমিটিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লিখিত সুপারিশ করেছি।’
উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন গতকাল এক বিবৃতিতে তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনায় পুরো শিক্ষকসমাজ লজ্জিত, দুঃখিত।
মন্তব্য চালু নেই