সহজে রান্নাঘরের একঘেয়েমি দূর
সংসার শুরুর পর কেটে গেছে বেশ কিছু বছর। ব্যবহার্য জিনিসপত্রও কেনা হয়েছে তখন। এখন সংসারের একই জিনিসের চেহারা বার বার দেখে ক্লান্ত হয়ে গেছেন। একই তৈজসপত্র, বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার করা পাতিল আর কড়াইতে রাঁধতে ভালো লাগছে না। হাতে খুব বেশি টাকা নেই, ইচ্ছে থাকলেও পরিবর্তন করতে পারছেন না ব্যবহারের সব জিনিস। অথচ অল্প খরচেই দূর করতে পারেন রান্নাঘরের একঘেয়েমি। আসুন জেনে নেয়া যাক কিছু সহজ উপায়।
* তেল কালিতে রান্না ঘরের দেয়ালটা কালচে হয়ে গেছে। মলিন দেয়ালে দিতে পারেন রঙের ছোঁয়া। সেটা খুব বেশি ঝামেলার মনে হলে পছন্দের কালার পেপারে দেয়ালটা মুড়ে নিতে পারেন। তাতে যেমন আপনার রুচির পরিচয় ফুটে উঠবে, তেমনি দেয়াল পাবে নতুনত্ব। পেপারের ডিজাইনের ভিন্নতায় অবসর সময়ে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন রঙের ভুবনে।
* ব্যবহারের পুরানো ভাঙা, বাঁকা হয়ে যাওয়া, কালি পড়া, দাগ পড়া পাতিল গুলো বদলে ফেলুন। সব বদলাতে না পারলেও অন্তত কিছু বদলে নিন। সুন্দর চকচকে পাতিলে রাঁধতে জন্ম নেবে নতুন ভালোলাগা।
* রান্না ঘরের প্লাস্টিকের মশলার কৌটা গুলো বদলে ফেলতে পারেন। অনেকদিন ব্যবহারে সেগুলোর চেহারা নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া নতুন ডিজাইনের অনেক কৌটা বাজারে এসেছে। সেগুলো কিনে নিতে পারেন। রান্নার সময় সুদৃশ্য কৌটাগুলো দেখতে আপনারও ভালোলাগা কাজ করবে।
* রান্না ঘরের তৈজসপত্রগুলো এলোমেলো অবস্থায় থাকলে কারো ভালো লাগার কথা নয়। সেগুলোকে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার জন্য একটি ছিমছাম শোকেস কিনে ফেলুন। এবার সবকিছু সাজিয়ে রাখুন মনের মতো করে।
* রান্না ঘরের সঙ্গে ছোট্ট একটি বারান্দা থাকলে তো কথায় নেই। সেখানে করেতে পারেন ছোট্ট একটি বাগান। প্রতিদিনের ব্যবহারের ধনিয়া পাতা, পুদিনা পাতা, লেমন গ্রাস, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, লেটুস পাতা, মরিচ গাছ ইত্যাদি টবে লাগাতে পারেন। নিয়মিত পরিচর্যায় থাকলে সেগুলো আপনার প্রয়োজন মিটাবে সহজেই। দেখবেন পুরনো সেই একঘেয়েমি বদলে গেছে নতুন সব আয়োজনের সঙ্গে।
মন্তব্য চালু নেই