সোহাগপুরের বিধবাপল্লীতে এসে অসন্তুষ প্রকাশ করেছেন ইমরান এইচ সরকার

সোহাগপুরের বিধবাপল্লীতে নববর্ষ উদযাপন করতে এসে বিধবাদের অসহায়ত্ব দেখে রাষ্ট্র তথা সরকারের প্রতি দারুণ অসন্তুষ প্রকাশ করেছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার। বিধবাদের সাথে কথা বলার পর গণমাধ্যমকে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, যারা তাদের প্রিয় মানুষটিকে হারিয়ে দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে মানবেতর জীবন যাবন করছে, যাদের সর্বোচ্ছ ত্যাগের বিনিময়ে এদেশের জন্ম হয়েছে। তাদের সকল দায়িত্ব রাষ্ট্রের নেওয়া উচিৎ ছিল, তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু রাষ্ট্র সেটা করেনি।

উল্লেখ্য ১১ এপ্রিল বৃহত্তর ময়মনসিংহের কুখ্যাত আলবদর কমান্ডার জামাতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল কামারুজ্জামান এর মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ায় আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঐদিন রাতেই সোহাগপুরের বিধবাপল্লীতে নববর্ষ উদযাপনের ঘোষনা দেয় গণজারণ মঞ্চ।

বিধবাপল্লী থেকে ফিরে কাকরকান্দি বাজারে মুক্তিযোদ্ধামঞ্চে এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেন ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১ইঞ্চি জায়গাতেও জামায়াত শিবিরকে পা রাখতে দেয়া হবে না। তাদেরকে রাজ পথেও নামতে দেয়া হবে না। জামায়াত শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। স্থানীয় সাংসদ, সরকারের মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী আপনি কেন একটি বেসরকারী ব্যাংকের মাধ্যমে মাত্র ১হাজার টাকা ভাতার ব্যবস্থা করেই থেমে থাকবেন, আপনি তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন, তাহলে তারা মাসে ৫হাজার টাকা ভাতা পেতে পারে। এসময় তিনি সকল দল ও মতাদর্শকে মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে এক হয়ে ক্ষুধা, দারিদ্র, দুর্নীতি মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার আহবান জানান।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিয়াউল হোসেন মাস্টার এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোল্লা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম হীরু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, কাকরকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ তালুকদার মুকুল, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির আহবায়ক নাজিম উদ্দিন। এছাড়া গণজাগরণ মঞ্চের জীবন জয়ন্ত, শাম্মী হক, জাহানারা নুরী সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই