প্রধানমন্ত্রী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছেন : মির্জা ফখরুল
‘সরকারের শাসনে গোটা দেশ সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে’ মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছেন। এই সুযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুটিয়ে বাণিজ্য করছে। বিভিন্ন মামলায় অজ্ঞাত আসামিদের নাম দিচ্ছে। পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে লোকজন ছাড়া পাচ্ছে। ২০০১ সালে দক্ষিণাঞ্চলের কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়িয়ে মামলা করা হচ্ছে।’
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘সামরিক একনায়কদের মুখে বাজেটের সমালোচনা শোভা পায় না’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি পরিষ্কার বলতে চাই, আমরা উর্দি পড়া একনায়কতন্ত্র দেখেছি। এখন উর্দি ছাড়া একনায়কতন্ত্র দেখছি।’
‘জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে’ অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ বুঝতে পারছে, র্যাব এখন জনগণের পক্ষে নয়। তারা অনৈতিকভাবে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। তাই র্যাব বিলুপ্তির দাবি করা হয়েছে।’
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
সভায় বিএনপির সহ-সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রেসক্লাবের গণ্ডি থেকে বের হয়ে আমাদের রাজপথ প্রকম্পিত করতে হবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের পতাকা সমুন্নত রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা দল, আর আওয়ামী লীগ শরণার্থী দল। আওয়ামী লীগ রণাঙ্গনে ছিল না। স্বাধীনতার পর তারা লুটপাট করেছে।’
‘রাজনীতি অনেক ঘোলাটে হয়েছে, যেখানে সেখানে গড ফাদার সৃষ্টি হচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সভাপতি সৈয়দ ইবরাহীম, বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম প্রমুখ ব্ক্তব্য দেন।
মন্তব্য চালু নেই