সংবিধান মেনে সংলাপে রাজি আ.লীগ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় আলোচনায় বিশ্বাসী। সংবিধান মেনে যেকোনো স্থানে সংলাপ হতে পারে। তবে খালেদা জিয়াকে সংবিধান মেনে কখন, কোথায় কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন সেটা আগে নির্ধারণ করতে হবে।’
সোমবার দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নৌকা সমর্থকগোষ্ঠীর এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এ কথা বলেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠকে খালেদা জিয়ার সংলাপের ইচ্ছা প্রকাশকে স্বাগত জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ‘আপনি সংলাপে বসতে রাজি, ভালো কথা। কিন্তু এ জন্য আপনাকে সংঘাতের রাজনীতি পরিহার করতে হবে। কারণ অতীতে আপনি সংলাপকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে সংঘাতের রাজনীতি করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তখন তিনি গোঁ ধরে না থাকলে দেশে এ কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি হতো না। বঙ্গবন্ধু কন্যা সব সময় গণতন্ত্র ও আলোচনায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগ কখনো আলোচনার পথ বন্ধ করেনি, করবে না। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনে নিলে, সংলাপের পথে কোনো বাধা নেই।’
দলের এ প্রবীণ নেতা বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নিয়ে খালেদা জিয়া দেশে একটি কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেছেন। আপনি (খালেদা জিয়া) উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু উপনির্বাচনে কেন অংশ নিচ্ছেন না?’
সংসদের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্র নীতি পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক জাপান সফর দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশ ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
বাজেট প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, ‘বাজেটে কোনো কিছুর দাম বাড়েনি, তাই মানুষ খুশি। বিএনপিও মানি না, মানব মিছিল করেনি। বাজেটকে যতই উচ্চাভিলাষী, স্বপ্নবিলাসী নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করা হোক না কেন, সবার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করলে বাজেট কার্যকর করা যাবে।’
সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন, ফয়েজউদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই