ফের ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়ে ‘বিস্মিত’ ক্রিকেটার!
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কোটি কোটি টাকা দিয়ে ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানো হচ্ছে। এটা তো বৈধ চুক্তির টাকা। এ ছাড়াও অবৈধ চুক্তির মাধ্যমে তাদের বাড়তি আয় করার সুযোগ আছে।
অনেকে তো সেই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চান না। অর্থের মোহে পড়ে মূল্যবান ক্যারিয়ারকেও ধ্বংস করতে দ্বিধা বোধ করেন না। আইপিএলে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সালেও যেমন আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন ভারতের তিন ক্রিকেটার- শ্রীশান্ত, অঙ্কিত চৌহান ও অজিত চান্দদিলা। এ জন্য বেশ কিছুদিন জেলে থাকতে হয় তাদের। সেবার আইপিএলে রাজস্থান রয়েলসের হয়ে খেলেছিলেন শ্রীশান্ত-অঙ্কিত-অজিত।
২০১৫ সালে আইপিএলের অষ্টম আসরে ফের ম্যাচ গড়াপেটার কথা উঠছে। এবারের কেলেঙ্কারির সঙ্গেও জড়িয়েছে ওই রাজস্থানের নামই। গত শুক্রবার আইপিএলে তাদের প্রথম ম্যাচ ছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে।
ওই ম্যাচের জন্য রাজস্থানের এক ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন এক ভারতীয় ক্রিকেটারই। প্রস্তাবকারী নাকি রাজস্থানের ওই ক্রিকেটারের সঙ্গে রনজি ট্রফিতে খেলতেন। তার বাড়ি মুম্বাইয়ে।
এদিকে সতীর্থের কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়ে ‘বিস্মিত’ হয়েছেন রাজস্থানের সেই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘রনজিতে আমরা দুজনে একই দলে খেলেছি। এ মাস আগে সতীর্থের কাছ থেকে ওই প্রস্তাব পেয়ে প্রথমে ভেবেছিলাম, আমার সঙ্গে মজা করা হচ্ছে। কিন্তু পরে বুঝতে পারি যে সত্যিকারের ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। তখন আমি বিস্মিতই হয়েছিলাম। বিষয়টি রাজস্থান রয়েলসের কর্তাদের অবহিত করেছি।’
এই প্রস্তাবের বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে বিসিসিআই ও রাজস্থান রয়েলসের পক্ষ থেকেও। ভারতের ক্রিকেট বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘রাজস্থানের এক ক্রিকেটারকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে জানায়। ভালো লাগছে এই ভেবে যে, আমরা দুর্নীতি রুখতে খেলোয়াড়দের যে শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি, তার ইতিবাচক ফল পাওয়া যাচ্ছে।’
মন্তব্য চালু নেই