মনজুরের কমলা, নাছিরের হাতি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলম পেয়েছেন কমলা এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত আ জ ম নাছির উদ্দিন পেয়েছেন হাতি।
শুক্রবার সকালে নগরীর মুসলিম হলে রিটার্নিং অফিসার আব্দুল বাতেন এ প্রতীক বরাদ্দ দেন।
মেয়র পদে ১২ প্রার্থীর মধ্যে চার প্রার্থীরই প্রথম পছন্দ ছিল হাতি প্রতীক। এই প্রতীকটি চেয়ে আবেদন করেন আ জ ম নাছির উদ্দিন, সোলায়ামান আলম শেঠ, মো. আলাউদ্দিন ও আরিফ মইনুদ্দীন। তবে পরের দু’জন সেটি প্রত্যাহার করলেও শেঠ ও নাছির হাতি প্রতীক চাইলে লটারির মাধ্যমে হাতি প্রতীকটি পান সরকারী দল সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন।
অন্য প্রার্থীদের প্রতীকগুলো হচ্ছে- জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ ডিস এন্টেনা, বিএনএফ’র আরিফ মঈনুদ্দীন বাস, গাজী মো. আলাউদ্দিন টেলিস্কোপ, ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত প্রার্থী ওয়াইয়াজ হোসেন ভূঁইয়া ঘড়ি, ইসলামিক ফ্রন্টের মজিবুল হক শুক্কুর ময়ূর, ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব এম এ মতিন চরকা, সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা ক্রিকেট ব্যাট, সাইফুদ্দিন আহমেদ ববি ফ্লাক্স, আবুল কালাম আজাদ দিয়াশলাই ও শফিউল আলম ইলিশ মাছ প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘মায়ের ইচ্ছাতেই হাতি প্রতীক নিতে চেয়েছিলাম। হাতি প্রতীক পেয়েছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
প্রতীক বরাদ্দের সময় আ জ ম নাছির উদ্দিন, সোলায়মান আলম শেঠসহ ১২ প্রার্থী মুসলিম হলে উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম মনজুর আলম। তার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বড় ছেলে মো. সরোয়ার আলম।
প্রতীক বরাদ্দের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কমলালেবু প্রতীক চেয়েছিলাম। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা কমলালেবু প্রতীক পেয়েছি। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমরা বিজয়ী হয়ে আসতে পারি।’
বিধি অনুযায়ী একজন প্রার্থী তার পছন্দনীয় প্রতীক হলফনামার সাথে প্রস্তাব করতে পারেন। তবে একই প্রতীক অন্য কোনো প্রার্থী প্রস্তাব করলে দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রথমে সমঝোতার প্রস্তাব দেওয়া হবে। সমঝোতায় পৌঁছাতে না পারলে লটারির মাধ্যমে প্রতীক নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
মেয়র পদে ১২ প্রার্থী ছাড়াও এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চূড়ান্ত লড়াইয়ে লড়ছেন ৪১টি কাউন্সিলর প্রার্থীর বিপরীতে ২১২ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের জন্য ৬১জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী।
মন্তব্য চালু নেই