ফাইনালে বিসিবি নর্থ জোন

মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনকে ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ’র (বিসিএল) ফাইনালে উঠেছে নাসির হোসেনের বিসিবি নর্থ জোন। নর্থ জোনের করা ৩২১ রানের জবাবে ৩৫ বল বাকি থাকতেই ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় সাউথ জোন।

আগামী ১২ এপ্রিল মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিএল’র ফাইনালে অলক কাপালির ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের মুখোমুখি হবে নাসির হোসেনের বিসিবি নর্থ জোন। একইদিন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোনকে ৯৮ রানে হারিয়ে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয় ইস্ট জোন।

বৃহস্পতিবার দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ব্যাট হাতে ৪৪ বলে ৬৯ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেও বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাশরাফি। মাশরাফির ৪৪ বলে ৬৯ রানের ইনিংসটি ৮টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ছিল। এছাড়া সাউথ জোনের হয়ে সোহাগ গাজী ২৮ বলে ৩৯ ও মোহাম্মদ মিথুন ৬৫ বলে করেন ৩৮ রান।

বিসিবি নর্থ জোনের দেলোয়ার হোসেন, ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম ও সানজামুল ইসলাম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট লাভ করেন। নাসির মাত্র ১ উইকেট লাভ করলেও বোলিংয়ে খুব মিতব্যয়ী ছিলেন। ৬.১ ওভারে ২.৪৩ গড়ে মাত্র ১৫ রান দেন তিনি।

তবে বৃহস্পতিবার মূলত নর্থ জোনের ব্যাটসম্যানরা দলকে ফাইনালে উঠার পথ তৈরি করে দেন। নাইম ইসলাম, মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রুম্মানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩২১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় নাসিরের দল।

নাইম ৭টি চারের সাহায্যে ১০৭ বলে ৮০ ও মুশফিক ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সহায়তায় ৬৬ বলে করেন ৭৮ রান। তবে ৩৪ বলে ৬৬ রানের ‘টর্নেডো’ ইনিংস খেলে আলোটা নিজের দিকে নেন সাব্বির রুম্মান। রুম্মানের ইনিংসে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল। ২২ বলে ৩৯ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দেন নাসির হোসেন।

সাউথ জোনের হয়ে মাশরাফি, রুবেল ও জিয়াউর রহমান দুটি করে উইকেট পেলেও সবাই রান দিয়েছেন উদারহস্তে। মাশরাফি ১০ ওভারে ৬৯ ও রুবেল ১০ ওভারে দেন ৫৮ রান। ৫ ওভারের স্পেলে ৩৫ রান দেন জিয়াউর রহমান।

দিবারাত্রির ম্যাচে ৩২২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১১ ওভারে ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় সাউথ জোন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মিথুন ও শাহরিয়ার নাফিস মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে ৮১ থেকে ১১৭- এই ৩৬ রানে মধ্যে শাহরিয়ার নাফিস (১০), মিথুন (৩৮) ও নুরুল হাসানকে (১৮) হারিয়ে নিজেদের পরাজয় ডেকে আনে মাশরাফির দল।

তবে দলকে জেতাতে না পারলেও সপ্তম উইকেট জুটিতে মাশরাফি ও সোহাগ গাজী মিলে ৮৬ রানের জুটি গড়ার পথে চার-ছক্কা মেরে দর্শকদের বিনোদন উপহার দেন।

শেষদিকে দেলোয়ার, ফরহাদ রেজা, তাইজুল ও নাসিরের তোপের মুখে পড়ে ৩০ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় মাশরাফির দল।

৬৬ বলে ৭৮ রানের অনবদ্য ইনিংসের জন্য মুশফিকুর রহিম ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার লাভ করেন।

প্রসঙ্গত, বিসিএল শেষে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা আসন্ন পাকিস্তান সিরিজের জন্য ক্যাম্পে যোগ দিবে।



মন্তব্য চালু নেই