কারাগারের সামনে বাড়তি নিরাপত্তা, যান চলাচল বন্ধ
কামারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে পরিবার
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে তার পরিবারের ১২ সদস্য।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার একটু পরেই পরিবারের সদস্যরা কারাগারের সামনে পৌঁছান। কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম, বড় ছেলে হাসান ইকবাল, ছেলে হাসান ইমাম, মেয়ে আতিয়া নূর, ভাগ্নি রুখসানা জেবিনসহ ১২ জন।
ডিআইজি (প্রিজন) গোলাম হায়দার বিকেল ৫টা ৩৩ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন। এর আগে, কারা কর্তৃপক্ষ কামারুজ্জামানের পরিবারকে বিকেল ৫টার মধ্যে কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চিঠি দিয়েছে বলে দ্য রিপোর্টকে জানান আইনজীবী এ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায় পুনর্বিবেচনায়ও (রিভিউ) ফাঁসি বহাল রেখেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে সোমবার সকালে এ রায় দেন।
বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।
কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে বাড়তি নিরাপত্তা, যান চলাচল বন্ধ
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আপিলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায় বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নিরাপত্তা জোরদারসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দেখা যায়, কারাগারের মূল গেটের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। আশপাশের স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি ভবনের ছাদে কাউকে না ওঠার জন্যে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির উপকমিশনার (ডিসি, লালবাগ) মোহাম্মদ মফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, কারাগারের আশপাশের নিরাপত্তার স্বার্থেই অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কারাগারের আশপাশে প্রত্যেকটি সড়কের মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কারাগারের মূল গেটের সামনে যাতে কোনো যানজটের সৃষ্টি না হয় এ জন্যে যানবাহন চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ফাঁসির সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চের সামনে ৪টি লাইট লাগানো হয়েছে, চারদিক দিয়ে শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। তিন জন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে তাদের নাম জানা যায়নি। বিকেল ৪টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে একটি কফিনও জেলের ভেতরে ঢোকানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বলেন, আমাদের কাছে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি এলে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করব। অনেক সময় অফিস টাইমের পরেও রায়ের কপি আসে। সেখানে যদি ফাঁসির কথা উল্লেখ থাকে, তাহলে আমরা ফাঁসি কার্যকরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করব।’
মন্তব্য চালু নেই