ভেঙে গেল হৃদয়-সুজানার সংসার

বিয়ের এক বছরের মধ্যেই ভেঙে গেল সঙ্গীতশিল্পী হৃদয় খান ও মডেল-অভিনেত্রী সুজানার সংসার। ঢাকার মণিপুরিপাড়ার একটি কাজী অফিসে সোমবার বিকেলে বিবাহবিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করেন হৃদয় খান।

সুজানা বলেন, ‘আমি কখনই বলিনি হৃদয়কে আমি ভালবাসি। দীর্ঘ সাত বছর আমাকে পাওয়ার জন্য হৃদয় অনেক কিছুই করেছে। আমি শুধুমাত্র পরিবারের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। বিয়ের পর আমাকে অনুষ্ঠান করে উঠিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। সেটাও হয়নি। বিয়ের পর রাতারাতি বদলে যায় হৃদয়ের আচরণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের আগে আমার পরিবারকে এবং আমার পেশাকে সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালবাসার চোখে দেখত। কিন্তু বিয়ের পর আমাকে, আমার পরিবার ও আমার কাজকে অসম্মান করা শুরু করে। তারপরও আমি চেষ্টা করেছি মানিয়ে নেয়ার। এখন আর সম্ভব হচ্ছে না।’

সুজানা দাবি করেন, ‘দাম্পত্যজীবন চালিয়ে যেতে আমার পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। আমি পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। সেটা আর হল না।’ এ প্রসঙ্গে হৃদয় খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। হৃদয় খানের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, এই বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো কথা বলতে চান না তিনি। সুজানাকেও নিষেধ করেছেন বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে।

২০১০ সালের শুরুর দিকে পূর্ণিমা আকতার নামে একটি মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করেন হৃদয় খান। ছয় মাসের মাথায় হৃদয় খানের সেই সংসার ভেঙে যায়। তার আগে সাত বছর প্রেম করেন নওরীন নামে আরেকজন মেয়ের সঙ্গে। অন্যদিকে ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। সেই বিয়ে টিকে ছিল মাত্র চার মাস। পরবর্তীতে একটি গানের মডেল হিসেবে হৃদয় খানের সঙ্গে পরিচয় হয় সুজানার। এরপর দীর্ঘসময় সুজানাকে ভালবাসার প্রস্তাব দেন হৃদয়। কিন্তু সুজানা পাত্তা দেননি। হৃদয়ের নাছোড়বান্দা ভালবাসার কাছে হার মেনে অবশেষে ২০১৪ সালের ১০ জুলাই প্রেমের ডাকে সাড়া দেন ‍সুজানা।

১ আগস্ট রাতে রাজধানীর মিরপুরে সুজানার বাড়িতে অনামিকায় আংটি পরিয়ে দেন হৃদয় খান। পরে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সুজানাকে উঠিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও সেটি করা হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই