সিটির পর জাতীয় নির্বাচন চায় ২০ দল

তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, ‘সরকারের উচিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে জাতিকে ভয়াবহ অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা করা। তা না করে নেতিবাচক পন্থা গ্রহণ করা হলে ভবিষ্যতে উদ্ভূত যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশন তথা সরকার তার দায় থেকে অব্যাহতি পাবে না।’

আসন্ন সিটি নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

শুক্রবার সন্ধ্যায় বুলুর স্বাক্ষর করা এ বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। সালাহ উদ্দিন নিখোঁজ হওয়ার পর তিনিই অজ্ঞাত অবস্থান থেকে দল ও জোটের পক্ষে বক্তব্য এবং কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে আসছেন।

সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ বিরোধীদলীয় ‘গুম হওয়া’ নেতা-কর্মীর মুক্তির জন্য দেশবাসী প্রহর গুনছে বলেও মন্তব্য করেন জোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই মুখপাত্র।

সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ‘নির্লজ্জ মিথ্যাচারে’র আশ্রয় নিয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে- দাবি করে বুলু বলেন, ‘এতে জাতি কলঙ্কিত বোধ করছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির সদর দফতর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তালাবদ্ধ করেনি। বিএনপিই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে। নেতারা চাইলে অফিসে বসতে পারেন, বাধা দেওয়া হবে না। অথচ দেশবাসী জানে, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীকে অসুস্থ অবস্থায় কার্যালয় থেকে ডিবি পুলিশ ৩ জানুয়ারি গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। ওই রাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মকতা-কর্মচারীদের কার্যালয় থেকে বের করে দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।’

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে- সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ বক্তব্য দেশবাসীকে ক্রমাগত হতাশ করছে বলে দাবি করেন বরকতউল্লাহ বুলু।

‘যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকই হয়, তাহলে প্রতিদিন খবরের কাগজে দেশবাসী কী দেখছে? প্রতিদিন হত্যা, গুম, অপহরণের পর অস্বীকার এবং জেল কিংবা পুলিশি হেফাজতে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের মৃত্যু কি তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের আলামত?’ প্রশ্ন বরকতউল্লাহ বুলুর।

বিবৃতিতে বরকতউল্লাহ বুলু আরো বলেন, ‘মিথ্যা ও হাস্যকর মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করে অথবা গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে গণদাবির আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে বলে আনন্দের ঢেকুর তোলা সহজ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেষ্টনী ত্যাগ করে জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে গণদাবিকে পাশ কাটা ততটা সহজ নয়।’

জনগণের ‘ন্যায়সংগত ও যৌক্তিক দাবি’ নিয়ে সরকার গোয়ার্তুমি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটি কোনোক্রমেই ক্ষমতাসীন মহল কিংবা দেশ ও জাতির জন্য শুভ লক্ষণ নয়।’



মন্তব্য চালু নেই