অভিযোগ ‘প্রমাণিত’ তারেকের স্বাধীনতাবিরোধী অপপ্রচারের

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে করা অপপ্রচারের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
মঙ্গলবার এই বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘সি আর মামলাটি (বাদীর এই মামলা) প্রাথমিক তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণে বাদী কর্তৃক আনীত অভিযোগের বিষয় আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পেনাল কোডের ১২৩(ক) এর অপরাধ মর্মে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।’
তবে সরকারের অনুমতি না থাকায় আগামী ২১ মে অনুমতি গ্রহণ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. তসরুজ্জামান।
গত বছর ১৯ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক।
ওইদিন আদালত সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষ গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনারের পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তাকে দিয়ে অভিযোগ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার লিখিত ‘জিয়াউর রহমান-ফার্স্ট প্রসিডেন্ট অব বাংলাদেশ’ বইয়ে মিথ্যা কাল্পনিক ও ভুল তথ্যাবলি উল্লেখ করেছেন।
তিনি গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইস্ট লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকার ইয়র্ক হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বিশ্বনেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক’ আলোচনা সভায় এক বক্তৃতায় বলেন, ‘শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু নন পাকবন্ধু, তিনি জাতির জনক হতে পারেন না, তিনি হত্যাকারী। আওয়ামী লীগ কখনোই জনগণের মনের ভাষা বুঝতে পারেনি। তারা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ কিংবা ২৫ মার্চ জনগণের মনের ভাষা বুঝেনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশের লাখো জনতাকে নিরাপদ মনে করেনি শেখ মুজিব, তিনি নিরাপদ মনে করেন হানাদার বাহিনীকে।’
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়েছে, তারেক রহমান তার বক্তব্যে দেশ এবং দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দেশের স্বাধীনতা, স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস এবং ওই যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে প্রশ্নবিদ্ধ, বিকৃত ও অস্বীকার করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এ ধরনের সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে অস্বীকার করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ এবং তারেক রহমান দণ্ডবিধির ১২৩(ক) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে বাদী দাবি করেছেন।
বাদী তার অভিযোগে তারেক রহমানকে বাংলাদেশ ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নীল নকশা প্রণয়নকারী উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে বাদী গত বছরের ১৪ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য একটি লিগ্যাল নোটিশও পাঠান। ওই নোটিশে বাদী ৩ দিনের মধ্যে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রুজু করে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে বিচারের সম্মুখীন করার উদ্যোগ নিতে বলা হয়। অন্যথায় পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন।



মন্তব্য চালু নেই