ব্যবসায়ী হলে সহজেই মালয়েশিয়ার নাগরিক

আপনি যদি ব্যবসায়ী হন, আর ইচ্ছা থাকে দেশের বাইরে বসবাসের, তাহলে মালয়েশিয়া হতে পারে আপনার স্বপ্নের ভূমি। এশিয়ার ইউরোপখ্যাত সাগরঘেরা এই দেশটিতে বসবাস শুরু করে আপনিও পেতে পারেন নাগরিকত্বসহ সব নাগরিক সুবিধা।

এখানে ব্যবসা শুরু করে টানা ৫ বছর বসবাসের পর কোনো আন্তর্জাতিক কোম্পানির অধীনে যেমন নাগরিকত্ব প্রাপ্তির সুযোগ আছে, তেমনি নিজেই কোম্পানি গড়ে হয়ে উঠতে পারেন জাঁদরেল ব্যাবসায়ী।

বসবাসের শুরু থেকেই এভাবে দেশটির অর্থনীতি ও উন্নয়নের অংশীদার হয়ে উঠলে একদিকে আপনি যেমন প্রথম শ্রেণির সব নাগরিক স‍ুবিধা পাবেন, তেমনি মানসিকভাবেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে থাকার প্রেক্ষিত তৈরি হবে।

এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ কনসালট্যান্ট অ্যাডভোকেট রাজু আহমেদ (পিএইচডি) বলেন, শতভাগ ফরেন শেয়ারে প্রার্থীর নিজ নামে লিমিটেড কোম্পানি করে নিজ কোম্পানিতে চেয়ারম্যান বা ম্যানেজিং ডিরেক্টর অথবা ডিরেক্টর পদে ট্যাক্স ফ্রি পারমিট প্রসেস করা যায়। তিনি বলেন, বিজনেস রেডিডেন্স প্রোগ্রামের আওতায় প্রার্থীকে কমপক্ষে ২৫ বছর বয়সী হতে হবে। আর অবশ্যই গ্রাজুয়েট বা ডিগ্রি হতে হবে পড়াশোনার স্তর। চাইলে পরিবারসহ (একসঙ্গে ২ বছরের ভিসা স্টিকার) বিজনেস রেসিডেন্স পাওয়া তো যাবেই, পরবর্তীতে তা নবায়নও করা সম্ভব।

কেননা মালয়েশিয়াতে ২ বছর পর পর বিজনেস মাইগ্রেশন ভিসা নবায়ন করে দীর্ঘ দিন বসবাস করা যায়।

যদিও এসডিএন.বিএইচডি কোম্পানির অধীনে বিজনেস মাইগ্রেশন (ক্যাটাগরি-১, ৩) ভিসা করা যায়। এছাড়াও আছে ট্যালেন্ট ভিসা- যার মেয়াদ পাঁচ বছর।

তবে অ্যাডভোকেট রাজু বলেন, মালয়েশিয়ান এসডিএন.বিএইচডি কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নিলেও, নাগরিকত্ব পাওয়াটা বেশ কঠিন। বরং আর্ন্তজাতিক কোনো কোম্পানির অধীনে বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা করা হলে, ৫ বছরের মাথায় মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব (পিআর) পাওয়া বেশ সহজ। এর বড় একটি সুবিধা হচ্ছে, এক্ষেত্রে কোনো মালয় নাগরিকের সুপারিশ প্রয়োজন হয় না। অন্য কোনো সংস্থ্যা থেকেও কোনো রিকমন্ডেশন লেটার বা প্রত্যয়নপত্র প্রয়োজন হয় না।

যা যা প্রয়োজন
মালয়েশিয়ায় ব্যবসা শুরু করে নাগরিকত্ব পেতে আপনার প্রয়োজন হবে- নিজের বিজনেস প্ল্যান, শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বশেষ সার্টিফিকেট, পাসপোর্টের সব পাতার ফটোকপি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ৪টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আর স্থানীয় কমিশনার বা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে চারিত্রিক সনদপত্র।

সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি পেয়ে যাবেন ২ বছরের বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা। এই মাল্টিপল এমপ্লয়মেন্ট পাসের মাধ্যমে দেশে আসতে পারবেন যখন খুশি তখন।

২ বছর পর আবারো ভিসা নবায়ন করে নিতে হবে। এভাবে ৫ বছর পার করলেই নাগরিকত্বের জন্যে আবেদন করতে পারবেন আপনি।

আর্ন্তজাতিক কোম্পানির অধীনে ভিসা থাকার সুবিধাটা হচ্ছে, বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা নেয়ার জন্য যেমন মালয় নাগরিককে অংশীদার বানানোর প্রয়োজন নেই, তেমনি পিআর এর আবেদনের জন্যও ২ জন মালয় নাগরিকের রিকমন্ডেশন প্রয়োজন হবে না। মালয়েশিয়ায় নাগরিকত্ব পেতে এবং বিজনেস রেসিডেন্স ভিসা সর্ম্পকে জানতে ও করণীয় সর্ম্পকে খোঁজ নিতে www.wwbmc.com এ ভিজিট করুন অথবা [email protected] এবং [email protected] মেইলে প্রশ্ন করে জেনে নিন বিস্তারিত। যোগাযোগ করতে পারেন, +60168123154, মোবাইল নাম্বারে। ফেসবুকে Advocate Raju Ahmed এবং স্কাইপ আইডি Advocate Raju Ahmed PhDতেও যোগাযোগ করতে পারেন।

অ্যাডভোকেট রাজু আহমেদ বলেন, সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে ৩০ থেকে ৪০ কার্য দিবসের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। কাগজপত্র রেডি হয়ে গেলে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিস কনসালটেন্সি ফার্মের মাধ্যমে প্রার্থীকে তলব করবে। তখনই মালয়েশিয়া পৌঁছে ইমিগ্রেশনে যেতে হবে প্রার্থীকে। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন অফিসে ১ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা তুলে দেবে হাতে।

ড. রাজু বলেন, অন্যায়ের আশ্রয় না নিয়ে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাগজপত্র দাখিল করলে কোনো প্রার্থীর আবেদনের ফাইল রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এক্ষেত্রে সততা বড় বিষয়।

তিনি বলেন, ভালো ফার্ম মূলত মালয়েশিয়ার হালনাগাদ কাগজপত্র বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশি প্রার্থীদের রেসিডেন্স অনুমোদন সেবা দেওয়ার কাজে লাগায়।



মন্তব্য চালু নেই