মেলবোর্নে শ্রীনিকে ধিক্কার!
আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেংকারির হোতা। তিনি আবার ক্রিকেটের নিয়ন্ত্র সংস্থা আইসিসির চেয়ারম্যানও। এন শ্রীনিবাসন। বারবার যিনি নিজের গায়ে কলংকের দাগ মেখেছেন। যার সবশেষ নজির স্থাপন করলেন ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে।
ফাইনালের আগের দিন রাতে শ্রীনিবাসন আইসিসির কতিপয় কর্মকর্তাকে নিয়ে বৈঠক করে প্রেসিডেন্ট আ হ ম মুস্তফা কামালকে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উঠতে দেননি! এটা যেমন এমসিজির দর্শকেরা বুঝতে পেরেছিলেন, তেমনি তাদের এও জানা ছিল যে, এই লোকটা ক্রিকেটকে কলংকিত করেছে।
তাই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার নাম ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই গ্যালারিতে বসা দর্শকেরা বিদ্রুপ করা শুরু করে। পুরো গ্যালারিই ফেটে পড়ে তার নাম শুনে। মেলবোর্নের পুরো গ্যালারিই তখন তাকে ধিক্কার জানাতে শুরু করে। আর যখন শচীন টেন্ডুলকারের নাম ঘোষণা করা হলো হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়েছে মেলবোর্ন। যদিও বিদ্রুপের মধ্যে এই হর্ষধ্বনি খুব একটা শোনা যায়নি। এমন দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে নিশ্চয় লজ্জা পেয়েছেন ক্রিকেট কিংবদন্তি!
ভারতীয় মিডিয়াগুলোই খোদ আইসিসি চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসনের নামে ধিক্কার দেওয়ার এই সংবাদ ফলাও করে প্রচার করেছে। কলকাতার মিডিয়াগুলো লিখেছে, গ্যালারিতে উপস্থিত শ্রীনিকে যতবারই দেখানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিনে, ততবারই বিদ্রুপ ধ্বনি উঠেছে তার নামে।
ফাইনালে এমসিজিতে উপস্থিত ছিলেন রেকর্ড ৯৩ হাজারেরও বেশি দর্শক। যা ছাপিয়ে গিয়েছে ১৯৯২ বিশ্বকাপের পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের ফাইনালকেও। ক্রিকেটের ইতিহাসেই সেটা একটা রেকর্ড। ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ জেমস ফকনার এবং ম্যান অব দ্য সিরিজ মিচেল স্টার্কের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শচীন। আর জনতার ধিক্কার হজম করেই শ্রীনিবাসন ট্রফি তুলে দেন মাইকেল ক্লার্কের হাতে।
মন্তব্য চালু নেই