জিয়াকে হত্যার দিন হাসিনা বোরকা পরে ভারত পালাচ্ছিলেন : গয়েশ্বর

‘জিয়া বেঁচে থাকলে তাকেও আসামি করতাম’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা দেশে ফেরার ১৩ দিন পর জিয়া মারা গেলেন। আর ওই দিন হাসিনা বোরকা পরে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালাচ্ছিলেন।’ তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি যদি জিয়ার বিচার করতে চান তবে তার আগে বিচার হওয়া উচিৎ ছিল তোফায়েল, শফিউল্লাহ, এইচটি ইমামের।’

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৩৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বর্তমানে দুর্বিসহ অবস্থা চলছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে খুন, গুমের মহোৎসব চলছে। ১৯৭১ সালে যদি রুখে না দাঁড়াতাম তবে আমরা আজকের বাংলাদেশ পেতাম না। বর্তমানেও সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘৫ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যেমে কংগ্রেস হাসিনাকে বিনা ভোটে রেখে যাওয়ার কারণে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ হাসিনার ইচ্ছায় গণতন্ত্র চলছে। একজনের ইচ্ছায় গণতন্ত্র চলতে পারে না। যদি চলতে দেয়া হয় তবে দেশে গণতন্ত্র থাকতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বর্তমানে মোদির রোগে ভুগছেন। তিনি মানসিক রোগে ভুগছেন। তাকে পাবনার হেমায়েতপুর বা ভারতের কোনো মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘কোনো সরকার স্বজনপ্রীতি করলে তাদের পতন হবেই। জিয়া কোনো স্বজনপ্রীতি করতেন না কিন্তু বঙ্গবন্ধু স্বজনপ্রীতি করতেন বলেই তার পতন হয়েছিল।’

আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যারা লোভী তাদের দিয়ে কোনো আন্দোলন হবে না। যাদের অ্যাকাউন্টে লাভ-লোকসান আছে, যারা দেশপ্রেমিক এবং জিয়ার মতো কাজ করে তারাই কেবল আন্দোলন করতে পারে।’

সংগঠনের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, জাহাঙ্গীল আলম হাওলাদার প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই