ডিসিসি নির্বাচন

ডিজিটাল প্রচারণায় প্রার্থীরা

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নিবার্চন কমিশন (ইসি)। তফসিল ঘোষণার আগে সম্ভাব্য সিটি নির্বাচনের প্রার্থীরা রাজধানীতে প্রচারমূলক যেসব বিলবোর্ড-ব্যানার-পোস্টার লাগিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের পর সেগুলো সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ঠিকই চলছে প্রচারণা। প্রযুক্তির কল্যাণে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন ডিজিটাল প্রচারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কেউ কেউ জানান দিচ্ছেন মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিজেদের প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল প্রচারণায় সব থেকে বেশি এগিয়ে আছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হেভিওয়েট প্রার্থী আনিসুল হক। অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র নারী মেয়র প্রার্থী হেলেনা জাহাঙ্গীরও বেশ সরব ফেসবুকে। এছাড়াও অন্য আর কোন প্রার্থীদের ডিজিটাল প্রচারণা তেমন একটা নজরে পড়েনি।
‘আমরা ঢাকা’ শিরোনামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন আনিসুল হক। ইতোমধ্যেই এই পেজ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে- ‘ঢাকার সমস্যা চিহ্নিত, এবার সমাধান যাত্রা…’।
এই পেজে পোস্ট করা একটি স্ট্যাটাস থেকে জানা গেছে, ‘দুই শতাধিক ভলান্টিয়ার প্রস্তুত, আপনার কথা শুনতে। প্রস্তুত কলসেন্টার, আপনার কথা শুনতে। ফেসবুক পেইজ, টুইটার, ইমেইল- আপনার জন্য প্রস্তুত সব কিছুই। জানান আপনার সমস্যার কথা; সমস্যা উত্তরণে আপনার প্রস্তাব, গবেষণা কিংবা উদ্ভাবনী চিন্তার কথা। ঢাকা আমাদের শহর। আমরা সবাই মিলেই ঢাকা। পরিকল্পিত উপায়ে এই নগরীর সকল সঙ্কট সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে এবং তা হতে হবে নাগরিকদের অংশগ্রহণের ভিত্তিতেই। কারণ আমরা জানি জনগণের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত ও ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস কখনও ভুল হতে পারে না। হটলাইন: ০৯৬১-৬৬৬৬৬৬; ইমেইল: [email protected]।’
ডিজিটাল প্রচারণা সম্পর্কে আনিসুল হক জানান, ‘আমাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তুলে আনার চেষ্টা করছি নাগরিকদের সমস্যাগুলো। এটা প্রচারণার একটি বড় অংশ। ইতোমধ্যে আমাদের ২০০ প্রতিনিধি বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ শুরু করেছে। তারা প্রত্যেক এলাকার সমস্যা, প্রত্যাশা তুলে আনবে। যেটা দেখেই আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবো, তাদের কী দেবো। এছাড়া কলসেন্টার, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নগরীর সমস্যা জানানোর জন্য জনগণকে সচেতন করছি। সেই সঙ্গে নগরীর সমস্যা জানানো জন্য অ্যাপস তৈরির কাজও চলছে।’
তিনি বলেন, ‘সনাতনী পদ্ধতির পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে নগরবাসীর সমস্যা জানার চেষ্টা করছি। সুতরাং ৫ বছরের এজেন্ডা নেয়ার চেষ্টা করছি। হাজারটা কাজ করা সম্ভব না। এরমধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়তো ২০টা কাজ করবো। ’
সম্ভাব্য প্রার্থীদের মতো সাঈদ খোকনের নিজের একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। ‘www.sayeedkhokon.com’ শিরোনামের এই ওয়েবপেজে তার ব্যক্তিগত প্রচারণাই বেশি। এখানে ঢাকা নিয়ে একটি বিশেষ পৃষ্ঠা রয়েছে।
নিজের ওয়েবসাইট সম্পর্কে সাঈদ খোকন জানান, ‘ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমার প্রতিদিনের কর্মসূচি দেয়া হয়। এছাড়াও ঢাকা নিয়ে আমার চিন্তা-ভাবনাও নিয়মিত আপডেট করা হয়।’
একমাত্র সম্ভাব্য নারী মেয়র প্রার্থী হেলেনা জাহাঙ্গীর বেশ সরব ফেসবুকে। কিন্তু নিজের নির্বাচনী প্রচারণার থেকে ব্যক্তি প্রচারণায় বেশি থাকে তার পেজে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার যোগদান ও সেই অনুষ্ঠানের বিষয়েই তিনি ফেসবুকে বেশি আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে মেয়র হিসেবে নিজের প্রার্থীতার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন এই নারী উদ্যোক্তা।
এছাড়াও দুই সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজেদের ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের পাশাপাশি কল সেন্টার ও মেসেজ সেন্টারের মাধ্যমে ভোটারদের কাছ থেকে দোয়া নিচ্ছেন প্রার্থীরা।



মন্তব্য চালু নেই