মীমাংসিত ইতিহাস বিকৃতকারী কাপুরুষ : ওবায়দুল কাদের
যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়েছে, মীমাংসিত ইতিহাসকে অমীমাংসের দিকে নিয়ে বিব্রত করে তারা কাপুরুষ।
শুত্রুবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ গ্রন্থের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারের ভয়ে যারা দেশে আসে না, তাদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে মানুষের সর্বনাশ হয়ে যাবে। বিএনপি ইতিহাস বিকৃত করে নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বে প্রকাশ করছে মূলত।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন আমাদের গৌরবউজ্জল ইতিহাসের উপর আত্রুমণ করছে। মীমাংসিত ইতিহাসকে অমীমাংসের দিকে নিয়ে অহেতুক একটি বিতর্ক সৃষ্টি করে উষ্কানি দিচ্ছে।’ এসব উষ্কানিতে যুবলীগকে ফাঁদে পা না দিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন প্রতিষ্ঠিত ইস্যুকে বিতর্কিত করার জন্য আত্রুমণ চালাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় তারা বঙ্গবন্ধুকেও কটাক্ষ করতেও পিছ পা হচ্ছে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নায়রণগঞ্জ ও ফেনীর ঘটনায় আমরা কিছুটা বেকায়দায় পড়লেও, অতীতে বিএনপির মতো উদাসীন থাকিনি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এতে হস্তক্ষেপ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন অপরাধীরা সরকারের চেয়ে শক্তিশালী নয়। নারায়ণগঞ্জে ঘটনা দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। যারা পালিয়েছে তারাও পার পাবে না। শেখ হাসিনার হাত থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না।’
শেখ হাসিনা নেতৃত্ব সঠিক পথে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি শুধু বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী নেতা নন, তার চেয়ে আরো শক্তিশালী। তার কোনো তুলনা হয় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের নতুন সরকার নিয়ে নৃত্য করে লাভ নেই। নতুন সরকারের সঙ্গে পুরানো সর্ম্পকই থাকবে। দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাই। এটা নিয়ে রাজনীতি করার কোনো মানে হয় না।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জেকব, এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই