ভারতের ছয়ে ছয়
বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় জিম্বাবুয়ে ও ভারত। টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় জয়ী হন ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুয়েকে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিদায়ী ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলরের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৮.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করে জিম্বাবুয়ে।
২৮৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। মূলত সুরেশ রায়না ও মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে হার মানে জিম্বাবুয়ে। তারা দুজন মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৯৬ রান তোলেন। এ যাত্রায় রায়না তার ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন। আর ধোনি অপরাজিত থাকেন ৮৫ রানে। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন সুরেশ রায়না।
এ জয়ের ফলে গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল ভারত। কোয়ার্টার ফাইনালে ১৯ মার্চ বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে তারা।
ইনিংসের শুরুতে দলীয় ২১ রানে পানিয়াঙ্গারার বলে সিকান্দার রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরত যান রোহিত শর্মা(১৬)। একই রানে ধাওয়ানকে (৬) বোল্ড করেন পানিয়াঙ্গারা। ৭১ রানের মাথায় রান আউটে কাটা পরেন আজিঙ্কা রাহানে। ৯২ রানের মাথায় সিকান্দার রাজার বলে বোল্ড হয়ে যান বিরাট কোহলি (৩৬)। এরপর ধোনি ও রায়না মিলে জয়ের বাকি পথ পাড়ি দেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এর আগেও অনেক ম্যাচ খেলেছে ভারত। কিন্তু শেষ কবে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা ভারতের বোলারদের পিটিয়ে এমন তুলোধুনো করেছে সেটা জানতে পরিসংখ্যান ঘাটতে হবে। আজ যেন ভারতের বোলারদের চোখের পানি, নাকের পানি এক করে ছেড়েছে স্প্রিং বকরা।
অবশ্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ১৩ রানের মাথাই তারা দুই দুটি উইকেট হারিয়ে বসে। ১১ রানের মাথায় যাদবের বলে ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান হ্যালিটন মাসাকাদজা (২)। ১৩ রানের মাথায় মোহাম্মদ সামির বলে ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন চিবাবা (৭)। ৩৩ রানের মাথায় মোহিত শর্মার বলে ধোনির হাতে ধরা পরেন সলোমান মায়ার (৯)। ১২৬ রানের মাথায় অশ্বিনের বলে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে আউট হন শন উইলিয়ামস (৫০)।
দলীয় ২৩৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১৩৮ রানে মোহিত শর্মার বলে শেখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ব্রেন্ডন টেলর। ২৪১ রানে মোহিত শর্মার বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন ক্রেইগ আরভিন (২৭)। এরপর ২৭৬ রানের মাথায় মোহাম্মদ সামির বলে বোল্ড হয়ে যান সিকান্দার রাজা (২৮)। ২৮৫ রানের মাথায় মোহাম্মদ সামির বলে যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনাশে পানিয়াঙ্গারা (৬)। ২৮৬ রানের মাথায় যাদবের বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন চাকাবা। আর ২৮৭ রানে যাদবের বলে বোল্ড হয়ে যান তেন্দাই চাতারা।
বল হাতে ভারতের মোহাম্মদ সামি, মোহিত শর্মা ও উমেশ যাদব ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন।
মন্তব্য চালু নেই