ইউটিউবেই মুক্তি পাচ্ছে ‘কিল দ্য রেপিস্ট’
ভারতীয় সেন্সর বোর্ড কিল দ্য রেপিস্ট সিনেমার ছাড়পত্র দিতে দেরি করছেন। পাশাপাশি নির্ভয়ার ওপর তৈরি তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ইউটিউব থেকে তথ্যচিত্র তুলে নেওয়ার আগেই যেভাবে সাড়া পড়ে গিয়েছিল দেশে তা উদ্বুদ্ধ করেছে মুম্বাইয়ের প্রযোজক সিদ্ধার্থ এম জৈনকে। আর তাই নিজের সিনেমা কিল দ্য রেপিস্ট দেশে মুক্তির ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই ইউটিউবে আপলোড করে দিতে চান সিদ্ধার্থ।
সিদ্ধার্থের সংস্থা আইরক মিডিয়া প্রযোজিত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় ছেল। চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় এই সিনেমাটি তৈরি করেন সিদ্ধার্থ। একটি চেম্বারে এক পুরুষের একসঙ্গে ৩ মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা নিয়ে সিনেমাটি এখনও পায়নি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র। সিনেমাটি মুক্তির আলো দেখবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। তাই এপ্রিলের মাঝামাঝি ৯০ মিনিটের এই থ্রিলার ইউটিউবে রিলিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রযোজক।
ভারতীয় মিডিয়াকে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘গত এক বছরে পৃথিবী বদলে গিয়েছে। এখনও যেকোনও স্বল্প বাজেটের সিনেমাও বিশ্বের দরবারে সহজে পৌঁছে যেতে পারে। আমি গত ২ মাস ধরে অনলাইন রিলিজের কথা ভাবছি। হঠাতই একদিন সকালে শুনলাম ইন্ডিয়াস ডটার ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। দিল্লির প্রেক্ষাপটে তৈরি সিনেমাটি আবর্তিত হয়েছে মূল চরিত্র অঞ্জলি(অঞ্জলি পাতিল) ও এক পুরুষ(সানি হিন্দুজাকে) ঘিরে। সেই পুরুষ অঞ্জলির ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। অঞ্জলির বন্ধুরা উল্টে ধর্ষককে আক্রমণ করে তাকে মক ট্রায়ালের সম্মুখীন করে। সিনেমাটিতে সমাজের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছে ধর্ষকদের কী শাস্তি হওয়া উচিৎ বা ধর্ষকদের কি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিৎ?’
২০১৩ সালের আগস্ট মাসে শুটিং শেষ হয়েছিল কিল দ্য রেপিস্টের। দিল্লি গণধর্ষণের দ্বিতীয় বর্ষে অর্থাৎ ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর সিনেমা মু্ক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইরকস। কিন্তু, সেন্সর বোর্ডের পছন্দ হয়নি এই সিনেমা।
সিনেমাটির প্রযোজক আরও জানান, ‘সিনেমাটির ট্রেইলার মুক্তির পরই যে সাড়া পেয়েছিলাম, আস্তে আস্তে তা কেমন যেন ঝিমিয়ে আসতে থাকে। ইন্ডিয়াস ডটার আবার সেই উৎসাহ ফিরিয়ে এনেছে আমার।’
কিল দ্য রেপিস্ট ট্রেইলারের ভিডিও :
মন্তব্য চালু নেই