পেট্রোলবোম-বন্দুকযুদ্ধ দুটোই সন্ত্রাসবাদ, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের শত্রু

চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রতিদিন সকালে যখন ঘুম থেকে উঠে পত্রিকার পাতা কিংবা টেলিশিনের পর্দায় চোখ রাখলেই দেখতে পাই- মানুষ মরছে পেট্রোল বোমা হামলায় না হয় বন্দুকযুদ্ধে। এই মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এটা যেন কোনোমতেই যেন থামাছে না। এতে সহজেই অনুমেয়- বর্তমানে বাংলাদেশ কতটা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।

এর আগেও দেশে রাজনৈতিক সংকট ছিলো । তবে এবার নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে পেট্রোল বোমা ও বন্দুকযুদ্ধ । প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও যানবাহনে পেট্রোল বোমা হামলা হচ্ছে । বোমার আগুনে পুড়ে হতাহত হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ । নারী-শিশুদেরও এ থেকে রেহাই নেই। এসব ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে এ পর্যন্ত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। প্রতিটি ঘটনার পরপরই সরকার ও সরকারি দলের পক্ষ থেকে ঢালাওভাবে বিরোধীজোটকে দায়ি করা হচ্ছে । যদিও বোমা-তৈরি ও নিক্ষেপের সঙ্গে উভয়পক্ষের লোকজন ধরাও পড়েছে একাধিক ঘটনায়। ফলে এই যৌথ নিষিদ্ধ সন্তানের নাম দেয়া হয়েছে ‘দুর্বৃত্ত’ । এদের যেন কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না।

সম্প্রতি রাজধানীতে দুই সহোদর ছাত্রলীগ-বিএনপি নেতা পেট্রোলবোমাসহ গ্রেফতারের বিষয়টি কী ইঙ্গিত বহন করে? তা ভেবে দেখার বিষয়। তাহলে কী আমরা ধরে নিতে পারি, এই পেট্রোল বোমা দুই শিবিরেরই রাজনীতির হাতিয়ার!

বিরোধী জোটের চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতায় চলতি বছরের প্রথম দু মাসে অন্তত ১২৮ জন নিহত হন। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দুইজন করে নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ৭৮জন। যাদের সবাই সাধারণ মানুষ। এই সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন।(সূত্র-আসক)।এরমধ্যে বেশীর ভাগ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক ব্যক্তি।

ঘুম থেকে উঠেই সকালে শোনা যাচ্ছে বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক বা সন্ত্রাসী কিংবা অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরেই মিলছে তার পরিচয়, জানা যাচ্ছে নিহত ব্যক্তিটি বর্তমান বিরোধী জোটের কোনো দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। আশ্চার্যজনক হলেও সত্য, এইসব বন্দুকযুদ্ধে হতাহতের ঘটনার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একই বক্তব্য অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীদের সাথে বন্দুযুদ্ধের এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। এ যেন প্রজাতন্ত্রের সেবক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের মহোৎসব চলছে। তবে একটি বিষয় অবাক হওয়ার মতো যে, এই বন্দুকযুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্যও হতাহত হচ্ছে না।

প্রথমে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া, পরে অভিযান, অতপর কথিত বন্দুকযুদ্ধ। কোনো নর্দমা, খাল, বিল অথবা হাসপাতালের মর্গে মিলছে সেইসব মৃতদেহ । পরে খবর পেয়ে স্বজনরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করছেন। মূলত গত ৫ জানুয়ারির পর থেকেই এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এই পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক।

অবশ্য নিহতদের পরিবারের দাবি, পুলিশ ধরে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে মানুষকে হত্যা করছে।

এমনই বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের জন্য এর আগে র্যােপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব) আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচিত হয়। তবে এবার জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ বাহিনী।

এ এভাবে প্রতিদিনই মায়ের বুক থেকে সন্তান, বোনের সামনে থেকে ভাইকে, সন্তানের সামনে থেকে বাবাকে, স্ত্রীর সামনে থেকে স্বামীকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আর রাত পোহালেই শোনা যাচ্ছে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় একটি মানবাধিকার সংগঠনের হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসেই বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার ১৭ জন। চলতি মাসে আরও অন্তত ১৫ জন বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

আর ২০১৪ সালে ১২৮ জন, ২০১৩ সালে ৭২ জন, ২০১২ সালে ৯১ জন, ২০১১ সালে ১০০জন, ২০১০ সালে ১১৩জন, ২০০৯ সালে ২২৯ জন, ২০০৮ সালে ১৭৫ জন, ২০০৭ সালে ১৮০ জন এবং ২০০৬ সালে ৩৫২ জন বিচারবহির্ভুত হত্যার শিকার হন।

এছাড়া আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজনৈতিক সহিংসতায় গত ১৫ বছরে সারাদেশে নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজার। রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন, অবরোধ, হরতাল, নির্বাচনী সহিংসতা ও দলগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ সব মানুষ নিহত হয়েছেন।
তবে রাজনৈতিক সহিংসতায় সবচেয়ে কম ব্যক্তি নিহত হয়েছে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর (২০০৭-০৮)। এই দুই বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হন ১১ জন। এর মধ্যে ২০০৭ সালে সাতজন এবং ২০০৮ সালে চারজন নিহত হয়।
তবে বিচারবহির্ভুত হত্যার ঘটনা যে শুধু এই সরকারের আমলেই ঘটছে তা বলার সুযোগ নেই। অতীতে যেমন রক্ষিবাহিনী গঠনের মাধ্যমে রাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের পথ সৃষ্টি করেছিল, তেমনি বিগত বিএনপি সরকার ২০০৪ সালে র্যাব-চিতা ও কোবরার নামে এলিট ফোর্স সৃষ্টি করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পথকে সুপ্রশস্ত করে। দেশে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি বিরাজ করছে। এতে প্রতিটি সরকারই রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে সরকারি বাহিনীতে পরিণত করে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করে। ফলে রাজনৈতিক সংঘাত আরও বেড়ে যায়। কোনো রাজনৈতিক দলই এর দায় এড়াতে পারে না।

আন্দোলনের নামে আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, তেমনি সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যেভাবে ব্যবহার করে মানুষ হত্যা করছে, সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ বন্দুকযুদ্ধে যারা মারা যাচ্ছে, এরা একেবারেই প্রান্তিক পর্যায়ের নেতাকর্মী। তাদের বিচারের আওতায় আনতে যথেষ্ট পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার সঙ্গে কখনওই পরিবারের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।

এভাবে একটি অপরাধ দমন করতে গিয়ে আরেকটি অপরাধের জন্ম দেয়া এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তেমনি অপরাধ নিয়ন্ত্রণের নামে রাষ্ট্র কর্তৃক নাগরিকের প্রাণহাণি কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিচয় হতে পারে না। এসব ঘটনায় বলা যায়-আমাদের দেশের রাজনীতি ক্রমশ অমানবিক হয়ে উঠছে। রাজনীতিবিদরাও ক্রমশ নিষ্ঠুর হয়ে উঠছে। ক্ষমতা দখলের জন্য সাধারণ মানুষকে যেমন আগুনে পুড়িয়ে মারতে পারছেন, তেমনি ক্ষমতার মসনদ স্থায়ী করতে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ধরে ধরে গুলি করে হত্যাও করতে পারছেন।

আজ রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক চর্চা ও আইনের শাসনের অভাবেই এ সব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে । অন্যথা আগুনে পুড়িয়ে কিংবা অন্য কোনোভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পার পাওয়া যেত না। রাষ্ট্রে যখন আইনের শাসন সুনিশ্চিত হয়, তখন একদিকে যেমন অপরাধ প্রবণতা কমে আসে, অন্যদিকে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রয়োজন হয় না।

দুই রাজনৈতিক শিবিরের ক্ষমতার কাড়াকাড়িতে রাষ্ট্রে আজ নাগরিকরা নিরাপত্তাহীন। বর্তমানে ঘরের বাইরে বের হওয়া বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। ফলে এসব হত্যাকে যেভাবেই সংজ্ঞায়িত করা হোক না কেন, রাষ্ট্র এর দায় এড়াতে পারে না। বিচারবহির্ভুত হত্যা আর রাজনৈতিক সহিংসতায় মানুষ হত্যার ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি কতটা নাজুক। দেশের মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং স্বাধীনতা ক্রমেই সংকীর্ণ হচ্ছে।

বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতার ঘটনায় ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ প্রভাবশালী কয়েকটি রাষ্ট্র এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ (এইচআরডব্লিউ) বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলো মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিরোধী জোট, সরকার ও আইন শৃংখলা বাহিনী যেভাবেই এসব হত্যাকাণ্ডকে সজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করুক না কেন। বন্দুকযুদ্ধ আর পেট্রোল বোমা হামলায় যেভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে তা কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তথা সভ্য সমাজে চলতে পারে না। এ দুটোই হলো সন্ত্রাসীদের হাতিয়ার। আমরা যদি সিরিয়ার আইএস, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের তালেবান ও ভারতের মাওবাদী সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের প্রতি খেয়াল করি তবে তাদের মাঝে এ ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করতে দেখতে পাই। তাহলে কী আমরা সেদিকে ফিরে যাচ্ছি?

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্লোগান নিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বাঙালী জাতি ঝাপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানী স্বৈরাচার আর সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধে অনেক রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করে জনগণ। আজ দেশ স্বাধীনের ৪৩ বছর পরও একই হানাহানি। যে গণতন্ত্রের জন্যে এতো আত্মত্যাগ, আজ সেই গণতান্ত্রিক চর্চা ও মূল্যবোধ কোথায়?

জোর করে ক্ষমতা দখল যেমন গণতান্ত্রিক রীতি নয়, তেমনি জনমতকে উপেক্ষা করে জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখা কোনো গণতান্ত্রিক আচরণ হতে পারে না। ‘গণতন্ত্র’ মানে নিছক নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রগঠনের-প্রক্রিয়া ও ভিত্তি নির্মাণের গোড়া থেকেই জনগণের ইচ্ছা ও অভিপ্রায় নিশ্চিত করা। জনগণের সেই ইচ্ছা ও অভিপ্রায় রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বক্ষেত্রে নিশ্চিত করা না গেলে তাকে কোনোভাবেই ‘গণতন্ত্র’ বলা যায় না।

নিজের অধিকারের উপলব্ধির মধ্যে দিয়েই অপরের অধিকার এবং নিজেদের সমষ্টিগত অধিকার ও দায়-দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া ও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ব্যক্তির যে-মর্যাদা অলঙ্ঘনীয়, প্রাণ, পরিবেশ ও জীবিকার যে-নিশ্চয়তা বিধান করা ছাড়া রাষ্ট্র নিজের ন্যায্যতা লাভ করতে পারে না এবং যে সব নাগরিক অধিকার সংসদের কোনো আইন, বিচারবিভাগীয় রায় বা নির্বাহী আদেশে রহিত করা যায় না- সেই সব অলঙ্ঘনীয় অধিকার অবশ্যই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগঠনের ভিত্তি।

মানুষ ও নাগরিক হিসেবে এই সব অধিকার ঐতিহাসিক লড়াই-সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে মানবেতিহাস অর্জন করেছে এবং সেই সব অধিকারের সার্বজনীনতা নানান আন্তর্জাতিক ঘোষণা, সনদ ও চুক্তির মধ্যে দিয়ে আজ বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সেই স্বীকৃত অধিকারগুলো কী বাংলাদেশের নাগরিকরা ভোগ করতে পারছেন?

ফলে বলা যায়- স্বীকৃত অধিকারগুলো নাগরিকরা যতদিন স্বাধীনভাবে ভোগ করতে না পারবে ততদিন তাদের সংগ্রাম চলবেই। আর সংগ্রামের মধ্যদিয়েই তাদের অধিকার একসময় প্রতিষ্ঠিত হবে।

তাই যদি কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত করে, তাহলে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।’ কিন্তু বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রীতি হতে পারে না। এতে অপরাধ প্রবণতা হ্রাস না পেয়ে বরং প্রতিহিংসাকে উৎসাহিত করে।এতে গুপ্তহত্যাসহ অন্যান্য অপরাধও বেড়ে যেতে পারে।

মানবাধিকারের সুরক্ষার জন্য যেমন গণতান্ত্রিক পরিবেশ অত্যাবশ্যক, তেমনি গণতন্ত্র সফলের জন্য মানবাধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আর গণতান্ত্রিক পরিবেশ যেখানে নেই, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন স্বাভাবিক ঘটনা।

তাই সরকারের উচিত, অবিলম্বে পেট্রোল বোমা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো সন্ত্রাসবাদ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সেই সাথে অপরাধীদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা। আর এভাবে আইনের শাসন কায়েম ও নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করা গেলে আশা করা রাষ্ট্রে শান্তি ফিরে আসবে।

লেখক: শিক্ষা ও সমাজ বিষয়ক গবেষক, ই-মেইল- [email protected]



মন্তব্য চালু নেই