মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ২৭৫

জোড়া সেঞ্চুরির আনন্দেই ভাসতে পারতো বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ১১ রানের আক্ষেপে সেটি আর হয়নি। তবে অ্যাডিলেড বাংলাদেশ যা পেয়েছে, তার তুলনা হয় না। গত চারটি বিশ্বকাপ ধরে যে মর্যাদা খুঁজে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ। সেই অনন্য অর্জনে বাংলাদেশকে গর্বিত করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

অ্যাডিলেডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি দিয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেঞ্চুরিয়ানের অমূল্য গৌরবের মালিক এখন তিনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আজ অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দেশের পক্ষে ইতিহাস গড়লেন মাহমুদউল্লাহ।

তিনশো রানের সম্ভাবনা জাগলেও তা বাস্তবে পরিণত করতে পারেনি বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লার সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে ইংল্যান্ডকে করতে হবে ২৭৬ রান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবাল অ্যান্ডারসনের শিকার হন। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ক্রিস জর্ডাদের হাতে ক্যাচ দেন ইমরুল। তৃতীয় ওভারে তামিম স্লিপে ক্যাচ অনুশীলন করান রুটকে।

শুরুর ধাক্কা বেশ সাহসিকতার সঙ্গেই কাটিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল টাইগাররা। কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে সৌম্য-সাকিবের বিদায়ে উল্টো চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯৪ রানে সৌম্য ক্রিস জর্ডানের বাউন্সারের শিকার হন। ৪ রান পরই সাকিব মঈন আলীর বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ তুলে দিলেন। মাহমুদউল্লাহ- সৌম্যর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৬ রান যোগ হয়। বড় রানের একটা ভিতও পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দ্রুত উইকেট হারিয়ে সেটি বাধাগ্রস্ত হলো। সৌম্য ৫২ বলে ৪০ রানের (৫ চার, ১ ছয়) ইনিংস খেলেন। সাকিব করেন ২ রান।

চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশের ত্রাতার ভূমিকায় দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। দুই ভায়রা ভাইয়ের ব্যাটে টাইগাররা এগিয়ে যায় বড় রানের পথে। ২৩.৫ ওভারে ১৪১ রানের জুটি গড়েন তারা। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৬৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি মাহমুদউল্লাহ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির। তিন অংক স্পর্শ করতে তিনি বল খরচ করেন ১৩১টি। দেশের পক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির অনন্য রেকর্ডটি বগলদাবা করেন সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।

দলীয় ২৪০ রানে রান আউট হন মাহমুদউল্লাহ। তিনি ১৩৮ বলে ১০৩ রান করেন ৭টি চার ও ২টি ছক্কায়। ৪৯ বলে ২১তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিকুর রহিম। সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন তিনিও। ৪৮তম ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ব্রডের শিকার হন মুশফিক। তার আগে তিনি খেলেন ৭৭ বলে ৮৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। যেখানে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছয়ের মার।

শেষদিকে সাব্বিরের ১৪ ও মাশরাফির ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের পক্ষে অ্যান্ডারসন-জর্ডান ২টি করে উইকেট নেন।



মন্তব্য চালু নেই