‘আমি ৬ দিনের মাথায় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতাম’

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, বিএনপি কিসের বিরোধী দল? শুধু হরতাল-অবরোধ দিয়ে যাচ্ছে। কাজের কাজ কিচ্ছুই হচ্ছে না। আমি যদি ৭ দিনের জন্য বিরোধী দলের নেতা থাকতাম তাহলে ৬ দিনের মাথায় শেখ হাসিনার জালিম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতাম।

রোববার বিকেলে মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শান্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ৪০দিন পূর্তি উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, হরতাল-অবরোধে অগ্নিকান্ণ্ড, হত্যা, নাশকতাসহ সব কিছুর জন্য যদি খালেদা জিয়া দায়ী হয় তাহলে আপনি (শেখ হাসিনা) দেশ পরিচালনা করেন কেন? আপনি খালেদা জিয়ার হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। আর্মি, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব সবই তো আপনার হাতে। মানুষকে যদি নিরাপত্তা দিতে না পারেন তাহলে ক্ষমতা ছেড়ে দেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদি কেনো ওবামাকে আমন্ত্রণ করে আনলেও জনগণ গ্রহণ করবে না। কারণ জনগণ সরকারের পক্ষে নেই।
আপনি ইচ্ছা করলে আমাকে হত্যা করতে পারবেন। কিন্তু আমাকে নত করতে পারবেন না।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ৪০ দিন ধরে রাস্তায় আছি, প্রয়োজনে আরো ৪০ দিন থাকব। নয় মাস যুদ্ধ শেষে পরাজিত পাকিস্তানিদের সঙ্গেও যদি আমরা আলোচনা করে থাকতে পারি তাহলে আপনি কেন আলোচনা করতে পারবেন না?

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের খবর আপনি জানেন না বলেই আমাকে চেনেন না। আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু আমাকে চিনতেন। বঙ্গবন্ধুর পদতলে এক লক্ষ চার হাজার অস্ত্র দিয়েছিলাম। যে অস্ত্র টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা আনতে তিন মাস সময় লেগেছিল।

তিনি বলেন, আমাকে ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, আপনার পিতার হত্যার প্রতিবাদকারী হিসেবে আবারো অনুরোধ করছি, আলোচনা করুন। শান্তির জন্য আলোচনায় কোনো পরাজয় নেই।

দলমত নির্বিশেষে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, যতদিন দেশে শান্তি না আসবে ততদিন সংগ্রাম চলবে।

ভারত সরকারের উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, একতরফা নির্বাচনে সায় দিয়ে আপনারা বাংলাদেশে যে সরকার বসিয়েছেন, সে সরকারকে এখনো সমর্থন দিলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে ভারতের নাম মুছে যাবে। শুধু নরেন্দ্র মোদি নয়, শান্তি ফিরে না আসা পর্যন্ত বিশ্বের কোনো নেতারই এ দেশে আসা ঠিক হবে না।

মতবিনিময় সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, বঙ্গবীরের স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী, যুগ্ম-সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান রানাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।



মন্তব্য চালু নেই