ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব উসকে দিচ্ছে ক্রিকেট

উপমহাদেশে ক্রিকেট মানে টান টান উত্তেজনা। আর যদি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয় তাহলে তো এর পারদ বেড়ে যায় আরো বেশ কয়েক গুণ। ওই ম্যাচকে ঘিরে শুধু ভারত-পাকিস্তানের নাগরিকদের মধ্যেই চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে না, বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেটমোদীর মনেও এর ঢেউ লাগে।

গবেষণা বলছে, ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠানের আগে ও পরে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়। একে অপরকে বর্ণবাদমূলক ও কুচ্ছিত মন্তব্য করে থাকেন তারা। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোমলমতি শিশুরা। ক্রিকেট শিশুদের মাঝে বর্ণবাদের বীজ রোপণ করছে। ভারত ও পাকিস্তান শত্রুদেশ- এমন দৃষ্টিভঙ্গি শিশুদের মনেপ্রাণে গেঁথে দেওয়া হচ্ছে।

দিল্লিভিত্তিক আর্লি চাইল্ডহুড অ্যাসোসিয়েশন (ইসিএ) নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভারতীয় শিশুদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ অনুষ্ঠানের এক দিন পর ওই জরিপ চালানো হয়। সমীক্ষায় কারা খেলবে, কারা জিতবে- এমন প্রশ্নের পাশাপাশি পাকিস্তান ও পাকিস্তানিদের সম্পর্কে তাদের মনোভাব কী- এমন বিভিন্ন বর্ণনামূলক প্রশ্ন করা হয়। পুনে, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ের ২ থেকে ৬ বছর বয়সি ৭০০০ হাজার শিশুর ওপর ওই সমীক্ষা চালানো হয়।

ইসিএ-এর পরিচালক সোয়াত পাপট ভাট বলেন, ‘অধিকাংশ শিশু বর্ণনা করে, ম্যাচ চলাকালে তার বাবা প্রচণ্ডভাবে ভারতকে সমর্থন করেন। পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাস’ হিসেবে অভিহিত করতে শিশুদের উদ্বুদ্ধ করে তার বাবারা। শিশুরা জানায়, তাদের বাবারা শিখিয়েছেন যে, পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত নয়।’

ভাট বলেন, ‘বাবারা ক্রিকেট ম্যাচের চেয়ে এটাকে দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যুদ্ধ হিসেবে তার সন্তানদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। আক্রমাত্মক ও বর্ণবাদমূলক বক্তব্যেও বাবারা শিশুদের প্ররোচনা দিয়ে থাকেন।’

একই ভাবে পাকিস্তানের নাগরিকরা ভারত সম্পর্কে একই মনোভাব পোষণ করে থাকেন বলে ভাট মনে করেন। তবে তাদের ওপর গবেষণা করা হয়নি।

তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।



মন্তব্য চালু নেই