ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবে হতদরিদ্র প্রবীণদের মাঝে কম্বল বিতরণ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থানা প্রেসকাব চত্ত্বরে হতদরিদ্র প্রবীণদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ফুলবাড়ী থানা প্রেসকাবে হতদরিদ্র প্রবীণদের মাঝে গণমাধ্যমকর্মীরা কম্বল বিতরণ করেন।

আর্ন্তজাতিক সংস্থা হেল্পএইজ ইন্টারন্যাশনাল এর লালমনিরহাট হাতিবান্দায় বহুব্রীহি কর্তৃক বাস্ত্মবায়িত Inclusion of Older People in Disaster Resilient in South Asia প্রকল্পের সহযোগীতায় হতদরিদ্র প্রবীণদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়। বহুব্রীহি দিনাজপুরে ও লালমনিরহাট হাতিবান্দায় মোট ৭০০ প্রবীণদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করে আসছেন।

প্রবীণ অধিকার সুরক্ষায় সাংস্কৃতিক প্রচারভিযান প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল ইসলাম প্রকল্পের লক্ষ-উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং বিতরনকৃত কম্বল আগামী শীতে ব্যবহারের জন্য উপস্থিত প্রবীণদের অনুরোধ করেন।

প্রবীণদের মাঝে কম্বল বিতরণ কালে ফুলবাড়ী থানা প্রেসকাবের সভাপতি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, আমরা অনেক বিষয়ে সংবাদ লেখালেখি করি, তবে আমাদের প্রবীণদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, সামাজিক নিরাপত্তাসহ সকল অধিকার নিশ্চিতে গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করতে হবে।

ফুলবাড়ী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের বলেন, আমাদের উত্তরবঙ্গে শীতের প্রকোপ এখনো আছে। এই শীতে তো বটেই আগামী শীতেও আপনারা এই কম্বল ব্যবহার করতে পারবেন। প্রবীণদের কম্বল দেয়ার জন্য হেল্পএইজ ইন্টারন্যাশনাল ও বহুব্রীহিকে ধন্যবাদ জানাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ফুলবাড়ী থানা প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, মোঃ উজ্জ্বল, শফিকুল ইসলাম (জুয়েল), দৈনিক জনতার ফুলবাড়ী প্রতিনিধি মোঃ গোলাম রব্বানী প্রমুখ। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধমে প্রবীণ অধিকার সুরায় সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান নিমিত্তে বহুব্রীহি দিনাজপুরে প্রবীণ অধিকার সুরক্ষায় সাংস্কৃতিক প্রচারভিযান নামক ৩ বছর মেয়াদী প্রকল্প বাস্ত্মবায়ন করে আসছে।

 

ফুলবাড়ীতে মুকুলে ভরে গেছে লিচুর বাগান বাম্পার ফলনের সম্ভবনা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় মুকুরে মুকুরে ভরে গেছে লিচুর বাগান, বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন লিছু চাষিরা। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে না আসলে আসা পূর্ণ হবে তাদের।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলায় ১৫ ভাগ জমিতে গড়ে উঠেছে লিচুর বাগান। এই অঞ্চলে লিচুর ফলন বেশি হওয়ায় এখন ভূমি মালিকেরা চাষকৃত জমিতে লিচু বাগান করতে ঝুকে পড়েছে। এছাড়া বাড়ির উঠান খোলায় লাগিয়েছে লিচুর গাছ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জিয়াউল হক জানান লিচু গাছের সময় মত পরিচর্চা করার জন্য সব ধরনের পরামর্শ তারা লিচু চাষিদেরকে দিয়েছেন।

উপজেলার জলপাইতলী এলাকার লিচু চাষি মাসুদ রানা জানান ১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে বছরে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ পাওয়া যায় কিন্তু ১ বিঘা জমিতে লিচু বাগান তৈরী করলে প্রতিবছর ১ লাক্ষ টাকা উর্ধ্বে বিক্রি হয়। এজন্য লিচু বাগান করা লাভ জনক হওয়ায় ঐ এলাকার তার মত অনেকেই লিচু বাগান করার ঝুকে পড়েছে। একই কথা বলেন ঐ এলাকা লিচু চাষি বেলাল হোসেন কাঁটাবাড়ি গ্রামের উজ্জ্বল দেবনাথ।

দিনাজপুরের লিচু সারা দেশে প্রসৃদ্ধ বলে পরিচিত উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে চায়না থ্রি, বোম্বে ও ডামন্ড জাতিয় লিচুর বাগান বেশি হয়েছে। লিচু চাষিরা জানান এই জাতের লিচু ফলন বেশি হয় এবং বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি এজন্য তারা এই জাতিয় লিচুর বাগান বেশি করে গড়ে উঠেছে। তারা জানায় যদি কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার না হলেয় তারা লিচু বাগান থেকে মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারবে।



মন্তব্য চালু নেই