ফরিদপুরে মৌচাক বিলীনের পথে যাচ্ছে

“মধুর হাজারো গুণ’’ এই প্রকৃতি থেকে পাওয়া মধু আজ বিলীনের পথে। এক সময় ফরিদপুরের শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেঠো পথের আশ-পাশে ঝোপ-বাগান ও বাড়ির আঙ্গিনার গাছের ডালে ডালে দেখা যেত মৌ’মাছির চাক। বিভিন্ন কলাকৌশলের মাধ্যমে মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে মধু ব্যবসায়ীরীরা তাদের সংসার চালাতেন। বর্তমানে সেই মৌচাক আর দেখা যায় না। আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে মৌ-মাছির চাষ করে মধু সংগ্রহ করা হয়। গ্রামগঞ্জ থেকে দিন দিন মৌচাক বিলীণ হয়ে যাচ্ছে।

গত শুক্রবার সদর উপজেলার ডবলব্রীজ নামক স্থানে গিয়ে দেখা যায়, আগে এ সময় ব্রীজের নিচে অনেক মৌ’মাছির চাক পড়ত এখন আর দেখা যাই না সেখানে। এ ভাবে জেলার সব জায়গায় আগের মতো আর মৌমাছি আসছে না গাছে গাছে চাক পড়ার জন্য।

ফরিদপুরের সালথা কলেজে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ ভবনের একটি রুমে কয়েকটি মৌমাছির চাক রয়েছে।

সালথা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চৌধুরী ফিরোজ মিয়া বলেন, এখানে অনেকদিন ধরে মৌচাক রয়েছে আজ পর্যন্ত মৌমাছি কারও কোন ক্ষতি করেছে বলে শুনি নাই। বরং মাঝে মাঝে এখান থেকে প্রচুর মধু সংগ্রহ করে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপভোগ করে আসছে।

যদুনন্দী ইউনিয়নের ৯৩ বছরের বৃদ্ধ হালিম জানান, আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বাঁশ-বাগানে, আমগাছে, গাফগাছে, তেতুলগাছে ও পিচফল গাছ থেকে মৌ-মাছির চাক কেটে, মধু এনে বাড়ির সবাই মিলে দৈনিক সকালে রুটি দিয়ে খেতাম। মধু খাওয়ার জন্য সহজে আমাদের কোন রোগ ব্যাধি হতো না। যদি কেউ মৌছাক কাটতে বাধা দিতো তাতেও আমরা থামতাম না। চুরি করে মৌচাকের ভিতরে পাটকাটির একটি মাথা দিয়ে অন্য পাশ মুখ নিয়ে মধু খেতাম। এখন মধু পাইনা, তাই খাওয়া হয়ে উঠেনা আগের মতো।



মন্তব্য চালু নেই