নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু ধর্ষণের শিকার
কোম্পানীগঞ্জে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধু ধর্ষণের শিকার। সূত্রে জানা যায় ঢাকায় মায়ের লাশ দেখে স্বামীর গ্রামের বাড়িতে রাতে ফেরার সময় ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
বিষয়টি স্থানীয় ইউপি মেম্বার মাহফুজ আলমকে গতকাল রাতে জানালে তিনি এলাকার লোকজন নিয়ে ধর্ষক আলাউদ্দিনকে আটক করে সকালে থানা পুলিশে কাছে সোপর্দ করেছে। ধর্ষিতা জানান তার মা ঢাকায় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে মারা যান। সংবাদ পেতে তিনি ঢাকায় গিয়ে মাকে দেখেন শেষবারের মতো বিদায় দেন। স্বামী চাকরি করে ঢাকার কামারবাগে একটি জুতার ফ্যাক্টরিতে। মাকে শেষবারের মতো বিদায় দিয়ে স্বামীর কাছে দু’দিন থাকেন।
গতকাল বিকালে স্বামী বাসের টিকেট কেটে গাড়িতে তুলে দেন। ফেনীতে গাড়ী আসার পর বাস ফেনী অদূরে যাত্রীদের ৫০ টাকা ফেরত দিয়ে নামিয়ে দেয়। তখন রাত সাড়ে ৭টা। আর কোনো গাড়ী না থাকায় ফেনী মহিপালের গাড়ীর জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন গৃহবধু সোনিয়া। কিছুক্ষপর স্বামীর বাড়ির পাশের ঝর্ণা বেগমের স্বামী আলাউদ্দিনের সঙ্গে দেখা হয়। আলাউদ্দিন বলে আমিও তোমার শশুবাড়ির এলাকায় যাব। গৃহবধু মুঠোফোনে স্বামীকে বলেন ঝর্ণা বেগমের স্বামীর সঙ্গে দেখা হয়েছে সেও এলাকা যাবে বলে।
আমাকে জানায় স্বামী বলেন, আলাউদ্দিনকে আমি চিনি তুমি তার সঙ্গে যেতে পার কোনো সমস্যা হবে না। ধর্ষিতা রাতে স্বামীর বাড়ীতে যাওয়ার পথে নরপশু আলাউদ্দিন তার কোমর থেকে একটি ছোরা বের করে তাকে হত্যার ভয় দেখায়। এরপর তার গায়ের ওড়না দিয়ে হাত-মুখ বেধে তাকে ধর্ষণ করে। রাতেই ধর্ষিতা স্বামীর বাড়ীতে গিয়ে বিষয়টি পরিরারের লোকজন জানায়। তারা স্থানীয় ইউপি মেম্বার মাহফুজ আলমকে বিষয়টি অবগত করেন।
তিনি পুরো বিষয়টি উপজেলা মিজানুর রহমান বাদলকে জানালে উপজেলা চেয়ারম্যান ধর্ষক আলাউদ্দিনকে আটক করে পুলিশে দেয়ার জন্য বলেন। স্থানীয় লোকজন নরপশু আলাউদ্দিনকে রাতেই আটক করে সকালে থানায় নিয়ে পুলিশে দিয়েছে। ধর্ষক আলাউদ্দিনের বাড়ী নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন বাটিরটেক ১নং কলোনির মোঃ রুহুল আমিনের ছেলে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ সাজেদুর রহমান সাজিদ জানান, ধর্ষিতার স্বামীকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি থানায় এলে মামলা নেয়া হবে বলে জানা যায়।
মন্তব্য চালু নেই