পৌর মেয়র গফুরের দাফন সম্পন্ন

রাজশাহী: রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌর মেয়র আব্দুল গফুর সরকারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টায় নওহাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে শ্রীপুরে তার পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

জানাযায় অংশ নেন রাজশাহী সদর সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-১(তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য মেরাজ উদ্দিন মোল্লা।

জানাযায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকার, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক সহসভাপতি অনিল কুমার সরকার, পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোকবুল হুসাইন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, সাধারণ সম্পাদক মাজদার রহমান সরকার, কৃষকলীগ সভাপতি মনসুর রহমান, মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, অধ্যক্ষ কাওসার আলী, সাবেক অধ্যক্ষ আশরাফ আলী দেওয়ান, ইউপির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, সাইফুল বারী ভুলু, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঈদ আলী রেজা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুল হক, নওহাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল বারী ও পবা থানা তদন্ত অফিসার আবুল কালাম আজাদসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ ও আত্মীয়স্বজন।

উল্লেখ্য, রাজশাহী পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুরকে ৭ জানুয়ারি হত্যার পর ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছিলো। কথিত চিকিৎসক জান্নাতুন সালমা মিম রিমান্ডে বিষয়টি স্বীকার করার পর মঙ্গলবার দুপুরে পবা থানা পুলিশের একটি দল আজিমপুর গোরস্থানে উপস্থিত হয়ে মেয়র গফুরের লাশ উত্তোলন করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার ভোরে নওহাটায় লাশ নিয়ে আসা হয়।

এরআগে ১৯ জানুয়ারি মেয়রের বর্তমান স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা পারুল বাদি হয়ে পবা থানায় অপহরণের মামলা করেন।
এদিকে মামলার পরেই কথিত ডা. জান্নাতুন সালমা মীমকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। পরে ঘটনা সন্দেহে ৩১ জানুয়ারি মীমের দু’বোন জান্নাতুন নাইম ও জান্নাতুন ফেরদৌসকে নওগাঁ ও ঢাকা আটক করে আদালতে পাঠানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই