‘আন্দোলন চাঙ্গা রাখার দায়িত্ব নিয়েছে মিডিয়া’

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রেখেছে আদালত৷ বুধবার খালেদার অনুপস্থিতিতে প্রায় দুই ঘণ্টা শুনানি শেষে এই রায় দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার৷

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বুধবার আদালতে হাজির হবেন কিনা, তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে কিনা তা নিয়ে দু’দিন ধরে আলোচনা চলছিল৷ তাই বুধবার সকাল থেকেই খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা অবস্থান নিয়েছিলেন৷ এ ব্যাপারে শীর্ষ একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি অংশ ফেসবুকে তুলে ধরেন শওগাত আলী সাগর৷ ঐ দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘খালেদার কার্যালয়ের ভেতরে নীরবতা থাকলেও কার্যালয়ের সামনে রয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের বিপুল সংখ্যক কর্মী৷ তাঁদের সক্রিয় উপস্থিতিতে এলাকাটি সরব৷” সাগরের এই স্ট্যাটাসের নীচে মন্তব্য করেন সুনীতি বিশ্বাস৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘বিএনপির আন্দোলন তো চাঙ্গা রাখার দায়িত্ব এখন মিডিয়া নিয়েছে৷ ফেরারি সালাউদ্দিনের গোপন ফ্যাক্স বার্তা আগাম পৌঁছানোর রীতিমত প্রতিযোগিতা হচ্ছে…৷”

এদিকে, বুধবারের শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়া নিরাপত্তা পেলে শুনানির পরবর্তী তারিখ ৫ এপ্রিলে আদালতে উপস্থিত হবেন৷ প্রথম আলো এ সংক্রান্ত খবর ফেসবুকে শেয়ার করলে সেখানে মন্তব্য করেন মোহাম্মদ মহিউদ্দীন মিন্টু৷

তিনি লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ যদি আপনার ডাকা হরতাল, অবরোধের মধ্যে আসা যাওয়া করতে পারে – আপনি কেন পারবেন না৷” ফারহান মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘ম্যাডাম, বাসায় থেকে আর লাভ কী? বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলই আজ কারাগারে পরিণত হয়েছে৷ আর আমরা ১৬ কোটি মানুষ এই কারাগারের কয়েদি৷”

চলমান সংকটের কারণে অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি ‘সত্য’-ও আক্রান্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন আব্দুর রহমান মিল্টন৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিখ্যাত একটি কথা আছে – ‘ট্রুথ ইজ দ্য ফার্স্ট ক্যাজুয়ালটি অফ ওয়ার’, অর্থাৎ যুদ্ধে প্রথম যা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা হচ্ছে ‘সত্য’৷ অর্থাৎ যুদ্ধের সময় যত মিথ্যা কথা বলা হয় তা অন্য যে-কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি৷ এটাকে বলে মনস্তাত্বিক যুদ্ধ৷ বর্তমানে বাংলাদেশে গভীর রাজনৈতিক সংকট বিরাজ করলেও যুদ্ধাবস্থা নিশ্চয়ই বিরাজ করছে না৷ তবে দুই বিবদমান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্যে এক ধরনের ‘রাজনৈতিক যুদ্ধ’ চলছে – যা আবার সহিংস রূপ ধারণ করেছে৷ একদিকে পেট্রোল বোমা, অপরদিকে ক্রসফায়ার৷ এই ‘যুদ্ধে’ও বলি হচ্ছে ‘সত্য’ বা ‘ট্রুথ’৷ দুই পক্ষই চরম মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে৷”ডিডাব্লিউ



মন্তব্য চালু নেই