মেয়র গফুরকে হত্যা করা হয়েছে নিখোঁজের দুই মাস পর জানা গেলো

রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুরকে হত্যা করা হয়েছে। চিকিৎসক জান্নাতুন সালমা মিম রিমান্ডে বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে পুলিশের একটি সুত্র জানিয়েছেন। আজ (রোববার) এ বিষয়ে আদালতে মিমের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার কথা আছে বলে পবা থানা পুলিশ জানিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পবা থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ রোববার গভীর রাতে জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মিম মেয়র আব্দুল গফুরকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে।

কোথায়, কখন ও কিভাবে মেয়র আব্দুল গফুরকে খুন করা হয়েছে এ বিষয়ে ওসি তদন্ত কিছুই বলেন নি। ওসি তদন্ত বলেন, আজ রোববার মিমের জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে নেয়া হবে। সেখানেই বিষয়টি পরিষ্কার জানা যাবে।

পবা থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, আটক মিম ও তার দুই বোনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছিলো। তাদেরকে রিমান্ডে আনার চেষ্টা ছিলো অনেক আগে থেকেই। তবে হরতাল ও অবরোধের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মিমসহ তিন বোনকে রিমান্ডে আনা সম্ভব হচ্ছিলো না। অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আদালত তিন বোন কথিত ডা. জান্নাতুল সালমা মীম, জান্নাতুন নাইম ও জান্নাতুন ফেরদৌসকে দুই দিনের রিমান্ডের অনুমতি দেয়।

এরআগে ১৯ জানুয়ারি মেয়রের বর্তমান স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা পারুল বাদি হয়ে পবা থানায় অপহরণের মামলা করেন।

উল্লেখ্য, নওহাটা পৌরসভা ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর মেয়র ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। জানুয়ারির ২ তারিখ পর্যন্ত পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে মেয়রের সারাসরি যোগাযোগ হয়। এরপর থেকে ২২ জানুয়ারী পর্যন্ত বিভিন্ন মোবাইলে ম্যাসেজ আসতে থাকে। কিন্তু পরক্ষনেই মেয়রের মোবাইলে ফোন করলে তা বন্ধ থাকে। এতে সন্দেহ দেখা দেয়। শেষে একজনের মোবাইলে ম্যাসেজে বলা হয়, এখন আমাকে হারালে। মাঝখানে মেয়রের ছেলের মোবাইলে দু’টি নম্বারে ২৫ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ চায়। এতে অপহরণের সন্দেহের তীর আরো বেগবান হয়।

এদিকে মামলার পরেই কথিত ডা. জান্নাতুন সালমা মীমকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। পরে ঘটনা সন্দেহে ৩১ জানুয়ারি মীমের দু’বোন জান্নাতুন নাইম ও জান্নাতুন ফেরদৌসকে নওগাঁ ও ঢাকা আটক করে আদালতে পাঠানো হয়।



মন্তব্য চালু নেই