থিরিমান্নে-সাঙ্গাকারার সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার দুর্দান্ত জয়

বিশ্বকাপের ২২তম ম্যাচে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩১০ রানের বড় লক্ষ্যে তাড়া করেও ৯ উইকেটে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। জোড়া সেঞ্চুরিতে লঙ্কানদের দুর্দান্ত জয় এনে দেন লাহিরু থিরিমান্নে ও কুমার সাঙ্গাকারা।

রোববার নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে টস জিতে ব্যাট করে জো রুটের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩০৯ রানের বড় স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ৯ উইকেট ও ১৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।

বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন দিলশান ও থিরিমান্নে। ওপেনিং জুটিতে ১৯ ওভারে ১০০ রান যোগ করেন এই দুজন। ৪৪ রান করে মঈন আলীর বলে ইয়ান মরগানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন দিলশান। তার ৫৫ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কার মার।

এরপর সাঙ্গাকারার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন থিরিমান্নে। ১৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করা থিরিমান্নে। তার ১৩৪ বলের ইনিংসে ছিল ১৩টি চোর ও ২টি ছক্কার মার। ৮৬ বলে ১১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সাঙ্গাকারা। ইনিংসে ১১টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

এর আগে জো রুটের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩০৯ রানের বড় স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে রুট করেন সর্বোচ্চ ১২১ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে ইয়ান বেলের ব্যাট থেকে। শ্রীলঙ্কার ৬ বোলার একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন মঈন আলী ও ইয়ান বেল। সুরাঙ্গা লাকমালের বলে বিদায় নেওয়ার আগে ১৫ রান করেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া মঈন। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভাল করতে পারেননি গ্যারি ব্যাল্যান্স। দলীয় ৭১ রানে তিনি ফেরেন ব্যক্তিগত ৬ রান করে। ব্যাল্যান্সকে ফিরতি ক্যাচে পরিণত করেন তিলকারত্নে দিলশান।

তৃতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ৩০ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন বেল। মাত্র ১ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন তিনি। লাকমালের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন বেল।

এরপর চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক ইয়ান মরগানের সঙ্গে ৬০ রানের বড় জুটি গড়েন রুট। মরগান ২৭ রান করে বিদায় নিলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন রুট। সেই সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে জেমস টেলরের সঙ্গে ৯৮ রানের আরেকটি বিশাল জুটি গড়েন তিনি। ২৫ রান করে লাসিথ মালিঙ্গার বলে দিলশানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টেলর।

ইনিংসের ৪৪তম ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের বলে চার মেরে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি পূরণ করেন রুট। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরির গৌরব অর্জন করেন তিনি। দলীয় ২৬৫ রানে রঙ্গনা হেরাথের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন রুট। ১০৮ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ১২১ রান করেন তিনি।

অার শেষ দিকে জশ বাটলারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোর ৩০০ রানের কোটা পার করে ইংল্যান্ড। ১৯ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন বাটলার। ৬ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস। এ ছাড়া ৮ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্রিস ওয়াকস।



মন্তব্য চালু নেই