দৃষ্টি আকর্ষণ স্থানীয় সাংসদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তা :

দুই উপজেলার চলাচলে বাঁশের সাঁকোই শেষ অবলম্বন

চট্টগ্রাম রাউজানের উপজেলার উত্তর রাউজানের শেষ সীমানায় পশ্চিম নদিমপুর গ্রামে শেষ অংশে বৈরাইম্যাঘাট রাউজান-হাটহাজারী সংযোগের জন্য একটি মাত্র বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ পারাপার করছে জীবনের ঝুকি নিয়ে। জীবনের প্রয়োজনে হালদার পূর্ব পাড় থেকে পশ্চিম পাড়, পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ের বাসিন্ধাদের আসা যাওয়া করতে হয় প্রতিনিয়ত।

তবে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে শুধু মানুষ পারাপার হচ্ছে না, বরং জীবন সব টুকু ঝুঁকি হাতে নিয়ে রাউজান, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী উপজেলার মধ্যে পারাপার হচ্ছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, রিক্সা, মোটরসাইকেল, সাইকেল, বটবটিসহ ইত্যাদি ছোট যানবাহন। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে রাউজান নোয়াজিষপুর, ফটিকছড়ির জাফতনগর, হাটহাজারীর নাঙ্গলমোড়া এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য মাইল দুই একের মধ্যে হালদা নদীতে কোন সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো তৈরী করে মৃত্যুকে হাতে অত্র তিন উপজেলার লোকজন চলাচলের একমাত্র অবলম্বন।

ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর গ্রামের শেষ সীমানায় হালদার উপর দিয়ে কোন ব্রিজ না থাকায় তিন উপজেলার মানুষকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অত্র তিন উপজেলার লোকজন চলাচলের জন্য রাউজান পশ্চিম নদিমপুরের শেষ সীমানায়, ফটিকছড়ি জাফতনগর শেষ সীমানায়, হাটহাজারী নাঙ্গলমোড়া শেষ সীমানায় হালদা নদীর উপর (বৈরাইম্যাঘাট) এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য এলাকার লোকজন তিন উপজেলা নির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে কয়েক দফা আবেদন করলেও বৈরাইম্যাঘাট এলাকায় হালদা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ এখনো পর্যন্ত হয়নি। আদৌয় হবে কিনা হালদার উপর ব্রিজ নির্মাণ সচেতন নাগরিকের মনে প্রশ্ন।

স্থানীয়রা জানান, রাউজানের পশ্চিম নদিমপুর গ্রামটিতে কোন হাই স্কুল, মাদ্রাসা, কেজি স্কুল না থাকায়, হাটহাজারী নাঙ্গলমোড়া এলাকায় লেখাপড়া করতে আসতে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিলম্বনার স্বীকার হতে হয়। শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম তাই ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা অর্জন করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের তৈরী সাঁকো দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। ঐ সাকো দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২-৩ শ’র স্কুল-মাদ্রাসার মত শিক্ষার্থীরা ঝুকি নিয়ে পারাপার করে। কেউ জানেনা কোন সময় কি হয়? তবে ঝুঁকিঠাই অনেক বেশি।

তারা আরো বলেন, দুই উপজেলার সংযোগের জন্য হালদার উপর বাঁশের সাকোটি নির্মাণ করে রুহুল আমিন মাঝি। বাঁশের সাকোটি নির্মান করতে মাঝি’র প্রায় এক-দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয় তাও আবার বাঁশের সংকটের মধ্যদিয়ে।

মাঝি জানান, প্রতিদিন কয়েকশ লোকজন পারাপার করে। সাঁকো দিয়ে পারাপারে প্রতিজন ২টাকা, সাইকেল ৫টাকা, মোটরসাইকেল ১৫টাকা, সিএনজি ৩০টাকা হারে ভাড়া আদায় করে তার প্রতিদিন আয় হয় ৭-৮শত টাকা। পশ্চিম নদিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বৈরাইম্যা ঘাট এলাকায় হালদা নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে শিক্ষার মান আরো বৃদ্ধি পাবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত তারা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। তবে সেতু হলে তিন উপজেলার মানুষের জীবনের ও মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাবে। বর্ষার মৌসুম শুরু হলে ঘাটটিতে ইজারদার নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার করে। শুস্ক মৌসুমে বাঁশের তৈরী সাঁকো দিয়ে যানবাহনসহ মানুষ পারাপার হয় ঝুঁকি নিয়ে।

হালদা নদীর উপর বৈরাইম্যাঘাট এলাকায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী পরিমান করে গেছে বলে জানান নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরোর্য়াদী সিকদার। রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আইপিইউ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের দুর্ভোগ নিরষণ হবে। পরে স্থানীয়রা রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে কমির চৌধুরী এমপিকে দৃষ্টি আকর্ষণ বলেন, তিন উপজেলার সাধারণ জনগণের দূর্ভোগ নিরষনের জন্য ব্রীজ নির্মান করে গ্রামবাসীকে দূর্ভোগের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিবেন বলে তারা আশাবাদ বক্ত করেন।



মন্তব্য চালু নেই