আটকের পর ডিবিতে হস্তান্তর র‌্যাবের

অবশেষে মান্নার সন্ধান

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ  ২১ ঘন্টা পর  সন্ধান মিলেছে মাহমুদুর রহমান মান্নার। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকা থেকে রাত ৮টার দিকে আটক করেছে র‌্যাব।

গুলশান থানায় হস্তান্তরের পর মান্নাকে সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে ডিবি পরিচয়ে ভাতিজি শাহনামা শারমিনের বানানীর বাসা থেকে মান্নাকে আটক করা হয় বলে দাবি করেন তার স্ত্রী মেহের নিগার। তবে মান্নাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।

অবশেষে রাত সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাবের একটি প্রতিনিধি দল মান্নাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করেছে। র‌্যাবের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে মান্নাকে আটক করেছে তারা। তবে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মান্না কোথায় ছিলেন বা তাকে ডিবি পরিচয়ে কারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

র‌্যাব জানায়, রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মান্নাকে আটক করা হয়। এরপর র‌্যাবের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার রাত ১২টা ২৫ মিনিটে গুলশান থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘র‌্যাব তাকে আটক করে গুলশান থানায় হস্তান্তর করেছে।’

গুলশান থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের উসকানি প্রদানের অভিযোগে পেনাল কোডের ১৩১ নম্বর ধারায় একটি মামলা করে মান্নার বিরুদ্ধে। মামলায় মান্নার নাম উল্লেকসহ আরও একজনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়। মামলা নম্বর ৩২।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গুলশান থানায় মান্নাকে হস্তান্তর করা হলেও তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মুখপাত্র ও যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে মূলত নিরাপত্তার কারণেই গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই