রাউজানে মাতৃভাষা দিবসে বিনম্র শ্রদ্ধায় সিক্ত শহীদেরা

বছরে গুরে এল আবার মহান মাতৃভাষা দিবস, আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙ্গানো ২১শে ফেব্র“য়ারী আমি কী বুলতে পারি। মাতৃভাষা আন্দোলনের ৬৩ বছর পূর্ণ। একুশে ফেব্র“য়ারি শোকাবহ হলেও এর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় পৃথিবীর বুকে অনন্য। কারণ বিশ্বে একমাত্র বাঙালি জাতিই ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন।

রাউজান উপজেলায় মহান মাতৃভাষা দিবসটি বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার প্রতিটি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এদিনটি পালনের মধ্যদিয়ে উপজেলাকে সাজসজ্জার বেস্টনিতে বেধে দিয়েছে। এদিকে নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের ইউনুচ আলমাচ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পঅর্পন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের মাতৃভাষা স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্র“য়ারির এ দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ শাসকগোষ্ঠির চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছিল। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সে দিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে শহীদ হন সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক। ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি সেদিন মায়ের ভাষার মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পায় নব প্রেরণা। এরই পথ বেয়ে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। পরবর্তী নয় মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে সংযোজিত হয় নতুন এক স্বাধীন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশ। একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটের পর শহীদ মিনারের বেদিতে পু®পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান তারা।



মন্তব্য চালু নেই