দিনাজপুর সংবাদ

ঘোড়াঘাটে গৃহবধু নিখোঁজ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরশহরের এস,কে, বাজার এলাকা থেকে এক গৃহবধু রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে। গত ১১মে রবিবার সকাল থেকে তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছেনা। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় তোলপাড় চলছে। নিখোঁজ গৃহবধু আনোয়ারা খাতুন ওরফে আজমিরা(৩০) পৌর শহরের এস কে বাজার এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে চাতাল ব্যবসায়ী কবিরুল ইসলাম বাবুর স্ত্রী। গত ৩ বছর পুর্বে ১ম স্ত্রী মারা গেলে আপন শালিকাকে সে বিয়ে করে। জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে বাড়ীর অদুরে কবিরুল ইসলাম চাতাল থেকে বাড়ীতে এসে স্ত্রীকে অনেক খোজাঁখুজিঁ করেও পাননি। পরে সকল আত্বীয়স্বজনের বাড়ী ও সম্ভাব্য সকলস্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ গৃহবধুর পিতার বাড়ী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার জগদীশপুর গ্রামে। সে ওই এলাকার মৃত ইব্রাহিম আলীর মেয়ে। এ ব্যাপারে নিখোঁজ গৃহবধুর ভাই জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত সোমবার ঘোড়াঘাট থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেন।

পার্বতীপুরে স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করলো স্ত্রী

পার্বতীপুরে সুবাস চন্দ্র (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে। নিহত সুবাস ওই গ্রামের মৃত হরিপদ রায়ের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক স্ত্রী জোসনা বালা সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, নিহত সুবাস মৃত গনপতির বিধবা স্ত্রী জোসনা বালাকে ৮ বছর পূর্বে দ্বিতীয় বিয়ে করে। সুবাসের প্রথম পরের স্ত্রী ও চার মেয়ে এবং জোসনা বালার প্রথম পক্ষের দুই ছেলে থাকায় বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে তাদের মাঝে দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। দাম্পত্যকলহ চরম আকার ধারণ করলে তিন বছর পূর্বে জোসনা বালা আগের স্বামীর সন্তানদের নিয়ে আলাদা বসবাস শুরু করে। কিন্তু পাশাপাশি বাড়ী হওয়ায় প্রায় সুবাসের সাথে জোসনা বালার ঝগড়া লেগেই থাকতো। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সুবাস চন্দ্র পার্শ্ববর্তী চৌরাস্তা বাজার থেকে মুড়ি বিক্রি করে বাড়ির খুলিয়ানে এসে জোসনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় জোসনা বালা, তার ছেলে নিতেষ ও প্রদিপ এসে সুবাসকে বেদম মারপিট করলে ঘটনা স্থলেই সে নিহত হয়। হত্যাকান্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসিরা জোসনা বালা, জোসনার প্রথমপক্ষের ছেলে প্রদিপ চন্দ্র, পুত্রবধু সন্ধ্যা রানী, ভাই নিবেশ চন্দ্র ও নিবেশ চন্দ্রের স্ত্রী প্রতিমা রানীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে গতকাল বুধবার সকালে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার এবং আটককৃতদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উৎপাদন হেক্টর প্রতি ৯.৬৮ মেট্রিক টন

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে কৃষি মন্ত্রি মতিয়া চৌধুরী অফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা নেরিকা (মিউটেন্ট ) জাতের অধিক ফলন শীল ধান শস্য কর্তন শেষে ফলাফল দাঁড়িয়েছে হেক্টর প্রতি ৯.৬৮ মে: টন ধান উৎপাদন হওয়ায় কৃষকের নিকট এই জাতের ধান উৎপাদনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে । নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আখেরুর রহমান জানান উপজেলার কৃষি বিভাগের উৎসাহ উদ্দিপনায় ও প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষনের আলোকে পরিক্ষা মূলক ভাবে এই প্রথম নেরিকা জাত উৎপাদন করা হয়েছে । মতিহারা এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেন জানান ওই গ্রামের মৃতঃ ময়েজ উদ্দিনের পুত্র কৃষক গোলাম মোস্তফা এ জাতের ধান রোপন করে ।

গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ধানের শষ্য কর্তন করা হয় । এ সময় এলাকার শতাধিক উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকা কৃষক উপস্থিত ছিলেন । ওই ধান কর্তনের সময় উপস্থিত থাকা দিনাজপুর জেলা কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ অফিসার (কৃষিবিদ) সাবরিনা আফরোজ জানান কর্তন শেষে উৎপাদন ফলন দাঁড়িয়েছে হেক্টর প্রতি ফলন দড়িয়েছে ৯.৬ মে. টন । শস্য কর্তন অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান নুরে আলম সিদ্দিকী ।

কৃষক গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান নেরিকা জাতের ধান রোপন করে আমি প্রচুর উৎপাদন পেয়েছি। পরবর্তিতে ব্যাপক আকারে এ জাতের ধান রোপনের চেষ্টা করব।

কয়লা উত্তোলন বিষয়ে মতবিনিময় সভা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর নিরঞ্জনের সভাপক্ষে কয়লা উত্তোলন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, এশিয়া এনার্জি কর্পোরেশনের ভূ-তত্ত্ববিদ মোঃ সাইদুর রহমান খান। তিনি বলেন, প্রতি বছর ভারত থেকে নিম্ন মানের সালফারসমৃদ্ধ কয়লা আমদানী করায় বাংলাদেশের পরিবেশের উপর মারাতœক প্রভাব পড়ছে। এনিয়ে আমাদের দেশের পরিবেশবাদীদের কোন জোড়ালো প্রতিবাদ নেই। এমনকি তেল, গ্যাস রক্ষা কমিটিও এ বিষয়ে নির্বিকার। গ্যাসের মজুদ দ্রুত কমে আসা এবং নতুন কোন গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কার না হওয়ায় বাংলাদেশের জ্বালানী খাত গভীর সঙ্কটের মুখোমুখী হবে।

ফুলবাড়ীর কয়লা প্রকল্প প্রাইমারী জ্বালানী সরবরাহের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে পারে। এই খনির কয়লা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ১০০০ মেগাওয়াট, পর্যায়ক্রমে ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশকে ঠিক রেখে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের মাধ্যমে এই এলাকা তথা বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশ এবং জ্বালানী খাতে বিপ্লব ঘটবে।

বড়পুকুরিয়া ছোট মাপের ভূ-গর্ভস্থ কয়লাখনি হতে বছরে সর্বোচ্চ ১ মিলিয়ন (১০ লক্ষ টন) কয়লা উৎপাদন করছে। ফুলবাড়ীর খনি বছরে ১৫ মিলিয়ন (১ কোটি ৫০ লক্ষ টন) কয়লা উৎপাদন করতে সক্ষম। এই এলাকায় ৫৭২ মিলিয়ন (৫৭ কোটি ২০ লক্ষ) টন কয়লার মজুদ নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়লার বেসিনটি ৮ কিলোমিটার লম্বা হয়ে রতনপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। ২৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এই কয়লা যার পুরুত্ব ৭০-৮০ মিটার। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৫০ ও ২৫০ মিটার গভীরে অবস্থিত। সরকার দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে জ্বালানী খাতের একটি বড় ধরনের উন্নয়ন সাধিত হবে।

মতবিনিময় সভায় কোম্পানীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মোঃ মশিউর রহমান বিদ্যুৎ, দেওয়ান মাহমুদুর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শিবনগর ইউপি’র চেয়ারম্যান মোঃ হারুনুর রশীদ, ডাঃ একরামুল হোসেন, দুধিপুকুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, রামভদ্রপুর হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ লোকমান, শিবনগর ইউপি’র বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ বুলবুল, ইউপি সদস্য মোঃ নুরু মেম্বার, মোঃ সাজু মিয়া, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান, বড়পুকুরিয়া জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দিন, এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ী, সুধীজন ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই