পাবনার কিছু খবর

চাটমোহরে শিক্ষা অফিসে চলছে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি

পাবনার চাটমোহর উপজেলা শিক্ষা অফিস চলছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে। চিহ্নিত কয়েকজন শিক্ষক অফিসে কর্মকর্তা সাথে আড্ডায় ব্যস্ত থাকেন। তারা বিভিন্ন শিক্ষক/শিক্ষিকা বদলীসহ নানা কাজে অর্থের বিমিয়য়ে তদবির করে থাকেন।

চলছে রকম রকম স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দূর্নীতি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার না থাকায় ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম।

তিনি নিজেও যেমন তার ক্লাস্টারভুক্ত স্কুল সঠিকভাবে পরিদর্শন ও তদারকি করেন না, তেমনি অন্য ৫ জন সহকারী শিক্ষা অফিসারও দায়িত্ব পালন করছেন না বলে অভিযোগ। শিক্ষা অফিসারের কক্ষে সকল সহকারী শিক্ষা অফিসার সকাল ১০ টার পর থেকেই আড্ডা জমিয়ে বসেন। সাথে থাকে চিহ্নিত দু’ চার জন প্রধান শিক্ষক।

এই অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও কেরানীদের দ্বারা সাধারন শিক্ষকরা হচ্ছেন হয়রানীর শিকার। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তদারকি নেই চাটমোহরে। ফলে বদলি বানিজ্য, পিটিআইতে পাঠাতে অনিয়মসহ নানা অনিয়ম শুরু হয়েছে। স্কুল পরিদর্শন না করায় অনেক স্কুলেই শিক্ষকরা সময়মতো আসেন না। শিক্ষার মান হচ্ছে নি¤œমুখী। এব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

 

চাটমোহরে শিশু কন্যাকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা ॥ আদালতে জবানবন্দী
পাবনার চাটমোহরে ৩ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে শিশুটি তার মায়ের সাথে থানায় নিয়ে আসা হয়।

সোমবার রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (৪) খ ধারায় শিশুটির মা তাছলিমা বেগম থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৫/১৫। গত মঙ্গলবার শিশুটি পাবনার আমলী আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ কামরুল হাসান খান এর আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত আলমগীর পলাতক রয়েছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার মির্জাপুর কলেজ পাড়ায় ৩ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয় সোমবার দুপুরে। মির্জাপুর কলেজ পাড়ার হায়দার ফকিরের ছেলে মির্জাপুর কলেজের ছাত্র আলমগীর ফকির (১৮) তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া মানিক হোসেনের ৩ বছরের অবুঝ শিশু কন্যা মীমকে মোবাইলে গান শোনানোর কথা বলে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। মেয়েটির চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে আলমগীর পালিয়ে যায়।

বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য শালিস বৈঠক বসানোর অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।



মন্তব্য চালু নেই