গ্রীষ্মের রসালো ফল জামরুল
জামরুল। দেখতে সুন্দর ও লোভনীয়। ফলটি রসালো ও হালকা মিষ্টি। জামরুল সাদা, সবুজ, লাল ও মেরুণ বর্ণের হয়। গ্রীষ্মকালে অতিপরিচিত এই ফল মাগুরাসহ দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়।
মাগুরা সদর, শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলায় প্রচুর জামরুল জন্মে। প্রায় প্রতি বাড়িতেই দু’একটি গাছ চোখে পড়ে। অনেকে এখন বাড়ির ছাদেও জামরুলের চারা রোপণ করছেন। ফল হিসেবে জামরুলের বাণিজ্যিক মূল্য কম। তারপরও দেশি ফল হিসেবে সব শ্রেণির লোকের কাছে কদর রয়েছে।
জামরুল গাছে প্রতি বছর ফুল-ফল আসে। মাঘ থেকে চৈত্র মাসে ফুল আসে এবং চৈত্র থেকে জৈষ্ঠ্য মাস পর্যন্ত পাকা ফল পাওয়া যায়।
সাধারণত গুটি কলমের মাধ্যমে জামরুলের বংশ বিস্তার করা হয়ে থাকে। বৈশাখ হতে আষাঢ় মাস পর্যন্ত গুটি কলম তৈরির উপযুক্ত সময়। জৈষ্ঠ্য ও আষাঢ় মাসে মুল জমিতে চারা রোপন করতে হয়। খরা মৌসুমে গাছে ২-৩ সেচ দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
দেশি জাতের পাশাপাশি বর্তমানে জামরুলের কয়েকটি উন্নত জাত পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে বারি ১, বাউ জামরুল ১ ও বাউ ২ জাত অন্যতম।
জামরুল ভিটামিন ‘বি’ সমৃদ্ধ ফল। ডায়াবেটিক রোগীর জন্য খুব উপকারী। পুষ্টিগুণ অন্য ফলের মতো স্বাভাবিক। খনিজ পদার্থের পরিমাণ কমলার তিনগুণ এবং আম, আনারস ও তরমুজের সমান।
এটি বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশে জন্মে। ক্রান্তীয় অঞ্চলে জামরুলের ব্যাপক চাষ হয়।
মন্তব্য চালু নেই