মান্নার মৃত্যুবার্ষিকীতে নেই তেমন কোনো আয়োজন

বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মান্না না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। দেখতে দেখতে ৭ বছর পেরিয়ে গেল। মঙ্গলবার মান্নার সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। মান্না যে মাপের নায়ক ছিলেন তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে নিয়ে হচ্ছে না তেমন কোনো আয়োজন।

এ বিষয়ে প্রয়াত মান্নার সহধর্মিণী শেলী মান্না বলেন, ‘প্রতিবছরই উনার (মান্না) মৃত্যুবার্ষিকীতে পারিবারিকভাবে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ বছরও হচ্ছে।’

বিকেলে মান্নার বাসায় পারিবারিকভাবেই মিলাদের আয়োজন করা হবে। অন্যদিকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আয়োজনে চিত্রনায়ক মান্না স্মরণে বিকেলে বিএফডিসিতে দোয়া ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।

মান্নার মৃত্যুদিবসের আয়োজন খুব ছোট পরিসরে হলেও সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ মার্চ ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো ‘মান্না উৎসব’ এর আয়োজন করতে যাচ্ছে মান্না ফাউন্ডেশন।

‘মান্না ফাউন্ডেশন’ এর চেয়ারপারসন শেলী মান্না বলেন, ‘মান্না নায়ক হিসেবে যেমন জনপ্রিয় ছিলেন, তেমনি মানুষ হিসেবেও ছিলেন একজন বড় মনের। আর মান্না উৎসবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে অনুষ্ঠানমালা ঘোষণা করা হবে।’

মান্নার মূল নাম এস এম আসলাম তালুকদার। তিনি ১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে মান্না এফডিসি আয়োজিত ‘নতুন মুখের সন্ধানে’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন। ‘তওবা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করে মান্না ২০০’রও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৩ সালে ‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

মান্না অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল- দাঙ্গা, লুটতরাজ, তেজী, আম্মাজান, আব্বাজান, লাল বাদশা, স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ, দুই বধূ এক স্বামী, মনের সাথে যুদ্ধ, মান্না ভাই ও পিতা মাতার আমানত।

প্রসঙ্গত, মান্না অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘লীলা মন্থন’ ২৬ মার্চ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে জাহিদ হোসেন ও খোরশেদ আলম খসরুর যৌথ পরিচালনায় নির্মিত এ সিনেমাটি। এ সিনেমায় মান্নার সঙ্গে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, পপি, শাহনূরসহ আরও অনেকে।



মন্তব্য চালু নেই