না.গঞ্জের ৭ খুন

আইজিপির সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ চলছে

নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনায় র‌্যাবের সাবেক তিনি কর্মকর্তার গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইজিপির সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। অন্যদিকে এ খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন যেখানে থাকুক তাকে খুঁজে বের করে আনা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনীর নিয়মনীতির জন্য কিছুটা সময় লাগছে। আমরা আদালতের নির্দেশনা মতই কাজ করছি। দেরি বা দীর্ঘসূত্রিতা হচ্ছে না। আইজিপির সঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ চলছে। যে কোন সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

নূর হোসেন প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, ‘তাকে খোঁজা হচ্ছে। সে ভারতে চলে গেছে এমন খবরও এসেছে। যদি ভারতে চলে যায়, তাহলে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হবে। বিষয়টির প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশ রয়েছে, অপরাধী যেই হোক কেউ ছাড় পাবে না।’

উল্লেখ, ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক থেকে একসঙ্গে ৭ জনকে অপহরণ করার পর ২৮ এপ্রিল অপহৃত ব্যক্তিদের উদ্ধারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে।

এর দুইদিন পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে সাতজনের লাশ ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় নূর হোসেনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নিহতের পরিবার মামলা করে। এর মধ্যে হাসু নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এ ঘটনায় র‌্যাব-১১ জড়িত এমন অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-১১ সদস্যদের বিরুদ্ধে সার্বিক বিষয়ে তদন্তের জন্য গত ৫ মে সচিব পর্যায়ের ৭ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর প্রেক্ষিতে গত ৭ মে কমিটি গঠনের পর নারয়নগঞ্জে সরেজমিনে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন বুধবার আদালতে জমা দেয় তদন্ত কমিটি। তবে এ তদন্ত কাজ শেষ করতে আরো ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কমিটির অন্যতম সদস্য মিজানুর রহমান খান।

এদিকে ৭ সদস্যের কমিটির তদন্ত চলাকালীন অবস্থায় ১১ মে বিজ্ঞ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত তিন র‌্যাব কর্মকর্তাদেক গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রিটের বিষয়ে বলেছেন, কথায় কথায় আদালতের এমন আদেশ তদন্ত কাজকে বাধাগ্রস্ত করে।



মন্তব্য চালু নেই