বিশ্বকাপে যা করতে পারবে না বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা !

আর মাত্র তিন দিন পর শুরু হচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে বসছে ১১তম বিশ্বকাপের আসর। বিশ্বকাপের দলগুলো এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে গেছে।

দলগুলোকে কঠোর নিরাপত্তা দিচ্ছে আয়োজক দেশগুলো। একই সঙ্গে ক্রিকেটারদের জন্যেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কঠোর বিধিনিষেধ থাকছে।

বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে ক্রিকেটাররা কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না, তার একটি তালিকা তাদের কাছে পৌঁছে গেছে। এ ছাড়া দলের ম্যানেজাররাও তাদের খেলোয়াড়দের নিয়মকানুন বুঝিয়ে দিচ্ছেন।

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ২১০ ক্রিকেটারের ওপর আইসিসি যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা নজিরবিহীন! বিশ্বকাপের চল্লিশ বছরের ইতিহাসে আর কখনো এমন হয়নি!

অন্যান্য দলের ক্রিকেটারদের মতো বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাও আইসিসির কড়া নজরে থাকবে। মাশরাফির দলের সদস্যদের যা করতে মানা তার একটি তালিকা দেওয়া হলো:

১) নিজের মোবাইল নম্বর জমা করতে হবে আইসিসির কাছে। কোনো গোপন নম্বর রাখা চলবে না। গোয়েন্দারা চাইলে যেকোনো সময় যেকোনো ক্রিকেটারের ফোনের রেকর্ড শুনতে পারবেন।

২) হোটেলের ঘরে বাইরের কাউকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। যদি একান্ত প্রয়োজন হয়, টিম ম্যানেজারের অনুমতি নিতে হবে। তিনি আবার আইসিসির অপরাধ দমন শাখার সম্মতি নিয়ে তবেই অতিথিকে ঘরে ঢুকতে দেবেন।

৩) আইসিসির অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাবে না।

৪) অপরিচিত ও আকর্ষণীয় নারীদের সম্পর্কে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। এরা নানাভাবে ভাব জমাবার, ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করবে। এদের কোনোমতেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। বুকিরা এদের চর করে পাঠাতে পারে, এমনই আশঙ্কা।

৫) হোটেলের বাইরে কোথাও যেতে হলে শুধু জানিয়েই নয়, সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে যেতে হবে। এদের আইসিসি অনুমোদিত হওয়া চাই। না জানিয়ে হঠাৎ বেরিয়ে যাওয়া যাবে না।

৬) মাঠে কোনোভাবেই বলের বিকৃতি ঘটানো চলবে না। অধিনায়ককে এ ব্যাপারে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। নইলে কিছু ঘটলে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে।

৭) প্রতি টিমের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী ত্রিদেশীয় সিরিজে থাকা একজন থেকে বাড়িয়ে তিনজন করা হবে।

৮) টুর্নামেন্ট চলাকালীন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহারের ব্যাপারে বিচক্ষণতা দেখাতে হবে। ফেসবুকে নতুন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ ।

৯) টুইটার ব্যবহারের ব্যাপারে সতর্কতা দেখাতে হবে।

১০) নতুন কোনো স্পনসরের সঙ্গে বিশ্বকাপ মধ্যবর্তী সময় যোগাযোগ না করাই ভালো।



মন্তব্য চালু নেই