হঠাৎ তৎপর কেন এরশাদ?
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা হরতাল-অবরোধের মধ্যে হঠাৎ তৎপর হয়ে উঠেছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
সম্প্রতি এরশাদের ভারত সফর, ভারত সফরের আগের দিন ওয়েস্টিন হেটেলে দলের নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক এবং ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে নৈশ্যভোজ। এসব নিয়েই এখন আলোচনায় এরশাদ।
দলের ভেতরে অনেকে বলছেন এরশাদ আসলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের আশায় ওৎ পেতে রয়েছেন। পরিস্থিতি বুঝে তিনি একদিকে ঝাঁপ দিবেন।
রাজধানীর হোটেল রেডিসনে গত ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দলের মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের সাথে গোপন বৈঠকে সবাইকে বেশি কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছে। এ সময় তিনি সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও সরব ছিলেন। এরশাদ বলেছেন, সরকার সবদিকে ব্যর্থ হয়েছে, না দিতে পারছেন জনগণকে শান্তি, না দতে পারছে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা। আমরা রাস্তায় চলতে পারি না। সন্তানরা স্কুলে যেতে পারে না। জনগণ আজ নেতৃত্বের পরিবর্তন চায়।
ওয়েস্টিন হোটেলের বৈঠক গোপনে আয়োজন করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর গোপন থাকেনি।
বন্ধুর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ভারতে যাওয়ার কথা বলা হলেও সেখানে তিনি শাসক দল বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।তবে কি নিয়ে কথা হয়েছে তা জানা যায়নি।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, তিনি (এরশাদ) মনে করছেন, দেশের চলমান সংকট সমাধানে সরকার ব্যর্থ হবে। সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। এজন্য তিনি সরকারের সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন।
এ নেতা আরো বলেন, পরিস্থিতি সরকারের অনুকূলের বাহিরে চলে গেলে তিনি সরকারের আরো কঠোর সমালোচনা করবেন।
যদি সরকার পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ফেলেন তাহলে আগের মত বিএনপির সমালোচনা করবেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় পার্টির একজন সংসদ সদস্য বলেন, কালকের পোগ্রামে(কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে) স্যারকে (এরশাদ) দাওয়াত দেওয়া হয়নি। কারণ ওনি পার্টির চেয়ারম্যান ওনাকে আমরা কোথায় বসতে দিব। তারপরও ওনি ওখানে গিয়েছেন। কিন্তু বক্তব্য দিতে পারেননি। এতে ওনি বিব্রতও হয়েছেন। আমরাও বিব্রত হয়েছি।
এই সাংসদ আরো বলেন, ওনি মনে করছেন, খুব তাড়াতাড়ি নির্বাচন হবে।
শনিবার পার্টির চেয়ারম্যান একরকম কথা বলছেন আর বিরোধী দলীয় নেতা আরেক রকম বলছেন-এ বিষয়ে মন্তব্য করা হলে তিনি বলেন, স্যার যেটা বলেছেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত কথা।আর ম্যাডাম যেটা বলেছে, সেটা আমাদের তথা সংসদীয় দলের কথা।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর ব্যক্তিগত মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মন্তব্য চালু নেই