বিনামূল্য ইন্টারনেটে আসছে ফেসবুক
বাংলাদেশেও চালু হতে পারে বিনামূল্য ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বসেরা অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুক ইন্টারনেট.ওআরজি প্রকল্প। এমনটাই জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে আনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে নানা প্রত্যাশার কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি ভারপ্রাপ্ত সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসিস সভাপতি শামীম আহসান, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল ইসলাম এবং বেসিসের মহাসচিব উত্তম কুমার পাল।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা ও আমেরিকার পর বাংলাদেশেও চালু হতে পারে বিনামূল্য ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বসেরা অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুক ইন্টারনেট.ওআরজি প্রকল্প। বাংলাদেশেও ইন্টারনেট.ওআরজি প্রকল্প চালু করতে ইতিমধ্যেই আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। আশা করছি, চারদিনের সম্মেলনের শেষ দিন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় প্রোমোটিং ইন্টারনেট অ্যাকসেস অ্যান্ড ইকোনোমিক গ্রোথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কনফারেন্সে এ বিষয়ে সুখবর জানাবেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ও হেড অব পলিসি আঁখি দাস।’
তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’ শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। ‘ফিউচার ইজ হিয়ার’ শ্লোগানে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দক্ষিণ এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তির সবচেয়ে বড় এ উৎসব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বিকেল ৩টায় উদ্বোধনের পর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত হবে বর্ণাঢ্য এ আয়োজন। সবার জন্য উন্মুক্ত তথ্যপ্রযুক্তির এ মিলনমেলায় থাকছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি জানান, ভাষার মাসের মর্যাদায় এবারের সম্মেলনে ভাষা শহীদদের নামে ৫টি জোন থাকছে। এবার প্রথমবারের মতো বিভিন্ন দেশের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে মিনিস্টারিয়েল কনফারেন্স।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫-কে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এই সম্মেলনে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য ও সক্ষমতা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরো জানান, এবারের সম্মেলনে আইসিটি অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি আগামী বছর থেকে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া হবে লজ্জা পুরস্কার।
এক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, ‘কেবল সফটওয়্যার আর আউটসোর্সিং নয় হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রেও কাজ হচ্ছে। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার অ্যসেম্বিলি প্ল্যান্ট হয়েছে। স্মার্টফোনে দেশি ব্র্যান্ড জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এ জন্য বাজেটে প্রণোদনা প্যাকেজ রাখা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর নানা আয়োজন তুলে ধরেন বেসিস সভাপতি শামীম আহসান। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশে বেসরকারি উদ্যোগে এ ধরনের সম্মেলন হলেও বাংলাদেশে সরকার এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার এক্ষেত্রে পথিকৃৎ। তাই বিষয়টি আজ বিশ্বের অনেক দেশই অনুসরণ করছে।’
তিনি জানান, এবারের সম্মেলনে বিপিএম, আউটসোর্সিং, ই-কমার্স এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ গুরুত্ব পাচ্ছে। স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে আইটি ক্যারিয়ার। সম্মেলনে প্রথমবারের মতো টেক রকারস হবে। সেখান থেকে বিদেশি বিনিয়োগ করা সহজ হবে। সম্মেলনে বিদেশি উদ্যোক্তারা তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বাজারে বিনিয়োগ চুক্তি করবে।
বাজেট উপস্থাপন করেন বেসিস মহাসচিব উত্তম কুমার পাল। তিনি জানান, সম্মেলনের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ কোটি ৭০ লাখ। আয়ের খাত সরকারের কাছে ৮ কোটি টাকা। স্পন্সর এক কোটি ২৫ লাখ। বেসিস সদস্য কোম্পানির কাছে স্টল বিক্রি করে আয় হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা।
বিসিসি নির্বাহী পরিচালক এসএম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এটি একটি জাতীয় ইভেন্ট। এই সম্মেলন বিনিয়োগ আকর্ষণ তৈরি করবে।’
মন্তব্য চালু নেই