নোয়াখালীর কিছু খবর :

নোয়াখালী জজকোর্ট চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে জেলা জজকোর্ট চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দূর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২০ দলীয় জোটের ডাকা টানা অবরোধ ও হরতাল চলাকালে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী জেলা জজকোর্টের ক্যান্টিনের পাশ্ববর্তী আইনজীবী সহকারীদের কক্ষের ছাদে হঠাৎ করে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কোর্ট এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি।

নোয়াখালী আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এবিএম জাকারিয়া ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

নোয়াখালীতে বিএনপি-জামায়াতের ১৩ নেতাকর্মী আটক
২০ দলীয় জোটোর ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধকে কেন্দ্র করে সহিংসতা প্রতিরোধে সকল ধরনের নাশকতা এড়াতে নোয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ১৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার রাত থেকে রোববার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে বিএনপি’র ১২ জন ও জামায়াত একজন নেতাকর্মীর রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত নামপরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের দুপুরের মধ্যে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

 

নোয়াখালীতে সন্ত্রাসী হামলা-আগুন, মহিলাসহ আহত ৫
নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নাই ইউনিয়নের পশ্চিম নরোত্তমপুর গ্রামে সন্ত্রাসী হামলা ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪টি বসতঘর পুড়ে গেছে। এসময় মহিলা সহ ৫ জন আহত হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবী করে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করেন পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুযারি) মধ্যরাতে পশ্চিম নরোত্তমপুর গ্রামের ইসমাইল পন্ডিত বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, মো. হারুন (৪০), পারভিন আক্তার (২৮), বিউটি আক্তার (২৬) ও পারভিন বেগম (৩০) সহ ৫জন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, শনিবার রাত দেড়টার দিকে ইসমাইল পন্ডিত বাড়ীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাড়ীর রহমত উল্লাহ, তার ভাই রফিক উল্লা, চাচাতো ভাই কামাল উদ্দিন ও ফারুক হোসেনের ৪টি বসতঘর পুঁড়ে ছাঁই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ রহমত উল্লাহ জানান, জায়গা-জমি নিয়ে তাদের প্রতিবেশী হানিফ, নূরনবীসহ কয়েকজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

এর জের ধরে রাতে হানিফ ও নবীর নেতৃত্বে ৩০-৪০জন একত্রিত হয়ে তাদের বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় তারা ঘরে থাকা মহিলাসহ লোকজনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে বাড়ীর চারটি বসত ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে চারটি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আহতদের মধ্যে হারুনের অবস্থা আশংকাজনক বলেও জানান রহমত উল্ল্যাহ।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, আগুনে কয়েকটি ঘর পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ বিষয়ে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।



মন্তব্য চালু নেই