লাশ ডিঙিয়ে সংলাপ সম্ভব নয় : ইনু

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘অসংখ্য পোড়া মানুষের লাশ ডিঙিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আর সংলাপ সম্ভব নয়। সন্ত্রাসের সামনে মাথা নত করলে দেশ, জাতি ও সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। ডাকাতের সঙ্গে যেমন আলোচনা হয় না, তেমনি মানুষ পোড়ানো বর্বর সন্ত্রাসের নেত্রীর সঙ্গেও কোনো আলোচনা নয়। খালেদা ও তার আগুন-সন্ত্রাসীদের পরাজিত করে আত্মসমর্পণে বাধ্য করাই এখন জনগণের প্রধান কাজ।’

শনিবার রাজধানীর উত্তরা হাউজ বিল্ডিং মোড়ে জাসদ (ঢাকা-উত্তর) আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অস্থির ও অস্বাভাবিক।লাগাতার অবরোধ-হরতাল দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী নাশকতার নেত্রী খালেদা জিয়া মুসল্লিদের ধর্ম-কর্ম, সরস্বতী পূজা বা এসএসসি পরীক্ষার তোয়াক্কা করেন না। রাজনীতির সব নিয়ম-কানুন ভেঙে নিছক সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।’

হাসানুল হক ইনু আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নয়, নিরীহ জনগণকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজীরবিহীন নিষ্ঠুরতা আর বর্বরতার পরিচয় দিচ্ছেন। একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসর রাজাকাররা যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর অন্যায়-অত্যাচার-হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল, এখন তা-ই করছেন খালেদা জিয়া।’

অপরাধীদের বাঁচানোই খালেদা জিয়ার মূল এজেন্ডা, এ অভিযোগ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বেগম জিয়ার দোসর যুদ্ধাপরাধীরা এখন ফাঁসির অপেক্ষায়। ছেলেসহ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচার ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারও প্রায় শেষ।’

তথ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ ও জাসদ যখন আইনের আওতার মধ্যে থেকে সভা-সমাবেশ করে সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব মোকাবিলা করছে, খালেদা জিয়ার আগুন-সন্ত্রাসীরা তখন রাতের আাঁধারে নাশকতা চালাচ্ছে।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন জাসদ নেতা মীর হোসেন আখতার, মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা, নাইমুল আহসান জুয়েল, রোকেয়া সুলতানা, শাহিন আখতার পারভীন, নার্গিস আক্তার, মোখলেসুর রহমান, জাকিরুল হক টিটন, মো. সাজ্জাদ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা হাবীব হাসান, এস এম মাহবুবুল আলম প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই