বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ নয় : ভারত

বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে ভারত হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন বিজেপি সরকারের মুখপাত্র এম জে আকবর।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শান্তি থাকুক এটা চাইলেও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে আগ্রহী নয় ভারত। তবে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছে তারা।

আকবর বলেন, ‘আমরা সব সময় চাই আমাদের দেশে ও প্রতিবেশী দেশে শান্তি থাকুক। কিন্তু প্রতিবেশী দেশে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠলেও সেখানে নাক গলানো বা হস্তক্ষেপ করাটা ভারতের নীতি নয়। সেটা ভারত কখনো করেনি, করবেও না।’

শ্রীলঙ্কা, নেপাল বা তিব্বতের ইতিহাসের দিকে তাকালে অবশ্য আকবরের এই বক্তব্য এত সহজে মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু বিজেপি নেতাদের দাবি, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটাই সত্যি। এ ছাড়া গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারতের ক্ষমতাসীন নেতৃত্বের ধারণা, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সামরিক অভ্যুত্থানের কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতাকালীন বিজেপি সরকার শেখ হাসিনা সরকারের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

বিজেপি’র প্রথম সারির নেতারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার মতো ‘পরীক্ষিত বন্ধু’র পাশ থেকে সরে যাওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না। তবে একান্ত আলোচনায় তারা এটাও স্বীকার করছেন, বিএনপি’র সঙ্গেও তাদের যোগাযোগ আছে, তবে সেটা স্বাভাবিক রাজনৈতিক সম্পর্কের বাইরে কিছু নয়।

পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিং, যিনি বাংলাদেশের রাজনীতিকদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তিনি বিবিসিকে বলেন, ‘ভারতের সম্পর্কটা যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে, তারপরও কোন দল সেখানে ক্ষমতায় সেটাও কিন্তু একটা ফ্যাক্টর। আর সে দিক থেকে বলতেই হবে, শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের স্বার্থের প্রতি, আমাদের উদ্বেগের প্রতি দারুণ বিবেচনা দেখিয়েছেন। আর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে ভারত যে জাতীয় স্বার্থকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেবে, তা তো বলার অপেক্ষা রাখে না।’

বিজেপি নেতাদের যুক্তি, ‘গণতন্ত্রের ওপর আস্থা রাখতে গেলে শেখ হাসিনাই কিন্তু আমাদের একমাত্র অপশন। কারণ ভারত মনে করে তিনি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারের প্রধান!’

এদিকে হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেও বিজেপি’র শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে তাদের সতর্ক নজর রয়েছে। এমনকি বিএনপি’র সঙ্গেও গত আট মাসে ধীরে ধীরে তাদের একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক তৈরী হয়েছে।

তবে প্রসঙ্গটা স্পর্শকাতর হওয়ায় বিজেপি নেতারা বলছেন, বাংলাদেশে সঙ্কটের সমাধান খুঁজতে হবে গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যেই।



মন্তব্য চালু নেই