কে বেশি কথা বলে, ছেলারা না-কি মেয়েরা

নারী পুরুষের চেয়ে বেশি কথা বলে, এমনটাই বিশ্বাস করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফলাফল বলছে ভিন্ন কথা। এতে দেখা গেছে, ছয়জনের বেশি মানুষের গ্রুপে নারী নয় বরং পুরুষই বেশি কথা বলে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

নারীরা সত্যিই বেশি কথা বলে কি না, এ বিষয়টি অনুসন্ধানে নামেন নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডেভিড লেজার। আর এ জন্য অনুসন্ধানে তিনি ব্যবহার করেন ‘সোসিওমিটার’। এটি স্মার্টফোন আকারের একটি যন্ত্র, যা জরিপে অংশগ্রহণকারীদের রিয়াল টাইম তথ্য সংরক্ষণ করবে। এতে বোঝা যাবে তারা সত্যিই কতক্ষণ কথা বলছে।

গবেষণার জন্য ১২ একদল পুরুষ ও একদল নারীকে ১২ ঘণ্টা করে যন্ত্রটি শরীরে সংযুক্ত করে রাখতে হয়। আর এ জন্য বেছে নেওয়া হয় ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক অবস্থা। এরপর তারা কে কতক্ষণ কথা বলেছে তা হিসাব করা হয়।

এতে দেখা যায়, নারীরা মধ্যাহ্নভোজনের বিরতিতে পুরুষের তুলনায় সামান্য বেশি কথা বলেন। আর পড়াশোনার জন্য বসলে নারীরা পুরুষের তুলনায় কিছুটা বেশি কথা বলেন। বিশেষ করে এ ক্ষেত্রে কথাবার্তার দৈর্ঘ্য বেশি হয়। নারীদের এ বেশি কথাবার্তা দেখা যায়, ছোট গ্রুপের ক্ষেত্রে (বিশেষ করে ছয়জনের কম মানুষের গ্রুপে)।

তবে ছয়জনের চেয়ে বেশি মানুষ যদি কোনো গ্রুপে থাকে তাহলে সেখানে নারীরা পুরুষের তুলনায় অনেক কম কথা বলে। আর এ ধরনের বড় গ্রুপে পুরুষই সবচেয়ে বেশি কথা বলে।

গবেষক লেজার বলেন, নারীদের প্রায়ই কথাবার্তা বলতে দেখা যায় আশপাশের মানুষের সঙ্গে। কিন্তু এটা পরিস্থিতি নির্ভর। যখন মানুষ একসঙ্গে কাজ করে তখন বেশি কথাবার্তা বলতে আগ্রহী হয়।

গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে।



মন্তব্য চালু নেই