সমাবর্তন ঘিরে উৎসবমুখর জাবি

আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকী! শুরু হবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল প্রত্যাশিত পঞ্চম সমাবর্তন।
এর আগে ২০১২ এবং ২০১৪ সালের প্রথমার্ধে দুই দফা এই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাবর্তনের মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য আবদুল হামিদ।
এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৮ হাজার ৬০০ জন গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে ১৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ২৩টি স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
সমাবর্তন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাস। দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে রাখা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। কিন্তু এরপরেও শিক্ষার্থীদের মাঝে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। সকাল থেকেই আবাসিক হলগুলোসহ পুরো ক্যাম্পাসে সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সরব পদচারণা চোখে পড়ার মত। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে ফটোসেশন আর আড্ডায় প্রাণবন্ত পুরো ক্যাম্পাস। বিরাজ করছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে, ‘অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি সমার্বতন অনুষ্ঠানের অনুকুল নয়’ উল্লেখ করে সমাবর্তন বর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। ছাত্রদলও একই কারণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজদলের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার, হামলা-মামলা ও তাদের ক্লাস ও পরীক্ষা দিতে বাধাসহ নেতা-কর্মীদের সনদ নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে সমাবর্তন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
তবে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মকান্ড শুধুমাত্র বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপিপন্থী এক শিক্ষক জানিয়েছেন।
মন্তব্য চালু নেই